Super gk Questions for Kolkata Police 2025

Introduction :

ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরি অর্জন করা কঠিন মনে হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সম্ভব। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—IAS, WBCS, SSC, Banking, WBP, KP বা Teaching Exams। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, মক টেস্ট, প্রিভিয়াস ইয়ার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে এগিয়ে রাখবে। Super gk Questions for Kolkata Police 2025 ভুগোল, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত আপডেটেড তথ্য মনে রাখুন। ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং নিজের উপর বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন—সফলতা আপনারই হবে।

Q1. ভারতের কোন সুলতানি শাসক “আড়াই-দিন-কা-ঝোপড়া” নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন?

  • (A) কুতুবউদ্দিন আইবক
  • (B) আরাম শাহ
  • (C) ইলতুৎমিস    
  • (D) রাজিয়া 

সঠিক উত্তর  (A) কুতুবউদ্দিন আইবক

ভারতের রাজস্থানের আজমিরে অবস্থিত ঐতিহাসিক “আড়াই-দিন-কা-ঝোপড়া” মসজিদটি সুলতান মুহাম্মদ ঘোরি-র নির্দেশে তার ক্রীতদাস ও সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক নির্মাণ করেন। ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। বলা হয়, মাত্র আড়াই দিনের মধ্যেই এটি নির্মাণ করতে হবে। সেই কারণেই এর নাম রাখা হয় “আড়াই-দিন-কা-ঝোপড়া”

মসজিদটির নির্মাণে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি প্রাচীন হিন্দু ও জৈন মন্দিরের নকশা অনুসরণ করে ও বিভিন্ন কলা – ভাস্কর্য ব্যবহার করা হয়েছিল। মুহাম্মদ ঘোরি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে আজমিরে আগমনের পর স্থানীয় মন্দিরগুলি দেখে ইসলামী উপাসনার জন্য এই মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন।

ভারতের ইতিহাসে স্থাপত্য ও শিল্প সংস্কৃতির “আড়াই-দিন-কা-ঝোপড়া” মসজিদ ভারতীয় মুসলিম স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।

Q2. ভারতের কোন সম্রাট “সিরি” শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন?

  • (A) ফিরোজ খলজি   
  • (B) আলাউদ্দিন খলজি
  • (C) ইলতুৎমিস  
  • (D) মহম্মদ বিন-তুঘলক

সঠিক উত্তর (B) আলাউদ্দিন খলজি

ভারতের সিরি শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন দিল্লির খিলজি রাজবংশের শক্তিশালী সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। তিনি ১২৯৬ থেকে ১৩১৬ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন এবং ১৩০৩ সালে দিল্লির উত্তরে সিরি নামে একটি শহর গড়ে তোলেন।

সিরি ছিল দিল্লি সুলতানদের দ্বিতীয় রাজধানী এবং মঙ্গোল আক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য এটি ছিল একটি দুর্গ। শহরটি আলাউদ্দিনের প্রশাসনিক সংস্কার ও সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পরিকল্পিত হয়েছিল। এই শহর দিল্লির সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

Q3. ভারতের সুলতানি আমলের কোন বিশিষ্ট ব্যাক্তি “হাজার দিনারী” নামে পরিচিত?

  •  (A) আমির খসরু 
  •  (B) বলবন
  •  (C) মালিক কাফুর 
  •  (D) মুবারক শাহ

সঠিক উত্তর  (C) মালিক কাফুর

দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খলজি মালিক কাফুরকে মাত্র ১০০০ দিনারে কিনে এনে ছিলেন । তারপর থেকে মালিক কাফুর “হাজার দিনারী” নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খলজির স্নেহভাজন ক্রীতদাস । কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি প্রভাবশালী সেনাপতির দায়িত্ব পান ।

ক্রীতদাস থেকে উচ্চ পদে ওঠার এই যাত্রা তার সাহস, কৌশল এবং যোগ্যতার প্রমাণ। তিনি বিভিন্ন দক্ষিণ ভারতের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তার দক্ষতা সুলতানের দরবারে তাকে বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছিল । মালিক কাফুরের জীবন দেখায়, কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলের মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারে।

Q4. মরক্কোর পর্যটক “ইবন বতুতা” কার আমলে ভারতে আসেন?

  • (A) ফিরোজ তুঘলক  
  • (B) আলাউদ্দিন খলজি
  • (C) মহম্মদ বিন তুঘলক  
  • (D) গিয়াসউদ্দিন বলবন

সঠিক উত্তর (C) মহম্মদ বিন তুঘলক

মরক্কোর বিখ্যাত ভ্রমণকারী ইবন বতুতা ভারতে আসেন মহম্মদ বিন তুঘলক-এর শাসনকালে। ইবন বতুতা ভারতে আসেন ১৩৩৩ থেকে ১৩৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। তিনি সুলতানের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত হন। তার ভ্রমণে তিনি ভারতের বিভিন্ন শহর, মন্দির, বাজার, নদী এবং সাধারণ মানুষের জীবন পর্যবেক্ষণ করেন।  

  ইবন বতুতার এই অভিজ্ঞতা তাকে ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। তার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনীর বই  “কিতাব-উল -রিহলা”তে তিনি এসব অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করেন। ইবন বতুতার ভারত সফর মধ্যযুগীয় ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিত্রকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে।

Super gk Questions for Kolkata Police 2025
Q5. বিখ্যাত “The Indian Struggle” বইটি কার লেখা?
  • (A) মহাত্মা গান্ধী   
  • (B) জওহরলাল নেহেরু
  • (C) বল্লভভাই প্যাটেল
  •  (D) সুভাষচন্দ্র বোস

সঠিক উত্তর  (D) সুভাষচন্দ্র বোস

বিখ্যাত দেশ প্রেমিক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস লিখেছেন “The Indian Struggle”। এই গ্রন্থে তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেছেন। বইটিতে বোস তার রাজনৈতিক জীবন, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, এবং স্বাধীনতার প্রতি তার অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন।

এছাড়া এটি ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কংগ্রেসের নীতি, বিভিন্ন আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে বিশ্লেষণ করে। “The Indian Struggle” কেবল ইতিহাস নয়। এটি এক ধরনের প্রেরণার উৎস, যা স্বাধীনতা সংগ্রামকারীদের সাহস ও দৃষ্টিভঙ্গি পাঠকের সামনে তুলে ধরে। এটি ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল।

Q6. ভারতে “মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রোগ্রাম কত সালে চালু হয়েছে?
  •  (A) 2014 সালে  
  •  (B) 2015 সালে
  •  (C) 2018 সালে   
  •  (D) 2019 সালে

সঠিক উত্তর  (A) 2014 সালে 

ভারতে “মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রোগ্রামটি ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চালু হয়। এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে ভারতে উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ ২৫টি খাতকে কেন্দ্রীয় করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এটি ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে।

Q7. ভারতের প্রথম সফল “কাগজের কল” কোথায় স্থাপন করা হয়?

  •  (A) বালি     
  •  (B) রাণীগঞ্জ     
  •  (C) কলকাতা   
  •  (D) হলদিয়া

সঠিক উত্তর  (A) বালি  

 ভারতের প্রথম সফল কাগজের কল স্থাপিত হয় পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে। এটি ১৮০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভারতের প্রথম সফল কাগজের ১৮৭০ সালে হাওড়ার বালিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

  এটি ব্রিটিশ শাসনের সময় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মূলত স্থানীয় প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কাগজ উৎপাদন করত। হাওড়ার এই কল আধুনিক কাগজ শিল্পের সূচনা হিসেবে পরিচিত। কাগজ উৎপাদনের এই উদ্যোগ স্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

Q8. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় বৃহত্তম “ওষুধের” কারখানা স্থাপন করা হয়েছে?

  •  (A) দুর্গাপুর     
  •  (B) রিষড়া
  •  (C) পাণিহাটি    
  •  (D) শ্রীরামপুর

সঠিক উত্তর (C) পাণিহাটি

পাণিহাটিতে গ্লুকোনেট হেলথ লিমিটেড নামে একটি ওষুধ কারখানা রয়েছে, যা ফার্মাসিউটিক্যাল ফরমুলেশন যেমন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, পাউডার ও গ্রানুল এবং তরল প্রস্তুত করে থাকে। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান যা দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল এবং হোলসেল মার্কেটে মানসম্মত ওষুধ সরবরাহ করছে।

Q9. ভারতের রাজধানী “দিল্লির” সর্বোচ্চ প্রশাসক কি নামে পরিচিত?
  •  (A) গভর্নর   
  •  (B) লেফটেন্যান্ট গভর্নর
  •  (C) চিফ কমিশনার    
  • (D) অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর

সঠিক উত্তর (B) লেফটেন্যান্ট গভর্নর

দিল্লির সর্বোচ্চ প্রশাসককে সাধারণত “লেফটেন্যান্ট গভর্নর” নামে পরিচিত। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ভারতের রাষ্ট্রপতির পরামর্শে মনোনীত করা হয় এবং তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির মতো কাজ করেন।

দিল্লির প্রশাসনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে এবং তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করতে হয়। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও পুদুচেরি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর শাসন করেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।

Super gk Questions for Kolkata Police 2025

Q10.1983 সালের “সারকারিয়া কমিশন” সংবিধানের কোন তালিকার রিপোর্ট উপস্থাপন করেন?

  •  (A) কেন্দ্রীয় তালিকা     
  •  (B) রাজ্য তালিকা
  •  (C) যুগ্ম তালিকা       
  •  (D) প্রশাসনিক তালিকা

সঠিক উত্তর  (C) যুগ্ম তালিকা 

১৯৮৩ সালে ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের সমন্বয় সাধনের উদ্দেশ্যে সারকারিয়া কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন বিচারপতি রণজিৎ সিং সারকারিয়া। কমিশনের প্রধান কাজ ছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রশাসনিক সমন্বয় বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করা।     

 সারকারিয়া কমিশন ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিল অনুযায়ী কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও সমবায়ী তালিকার (Union, State এবং Concurrent List) মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন সম্পর্কিত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট উপস্থাপন করে। বিশেষত যৌথ তালিকা বা যুগ্ম তালিকা নিয়ে সৃষ্টি বিবাদ সমাধানের পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এই কমিশনের মাধমে। এটি ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Q11. ভারতের “জাতীয় দলের” স্বীকৃতি পেতে কম পক্ষে চারটি রাজ্যের মোট ভোটের কত শতাংশ ভোট পেতে হবে?

  • (A) 2 শতাংশ      
  • (B) 4 শতাংশ
  • (C) 5 শতাংশ           
  • (D) 6 শতাংশ

সঠিক উত্তর   (D) 6 শতাংশ

ভারতের একটি রাজনৈতিক দলকে “জাতীয় দলের” স্বীকৃতি পেতে হলে তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ করতে হয়। ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলকে “জাতীয় দল” (National Party) হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে -।

 সেই দলকে কমপক্ষে চারটি রাজ্যে মোট বৈধ ভোটের ন্যূনতম ৬% ভোট পেতে হবে এবং সেই সঙ্গে অন্তত চারটি রাজ্যে লোকসভা বা বিধানসভায় অন্তত ৪টি আসন জিততে হবে। অর্থাৎ, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে কমপক্ষে চারটি রাজ্যে মোট ভোটের ৬% ভোট পেতে হবে।

 Q12. ভারতের কোন কমিটির সুপারিশ অনুসারে “পঞ্চায়েত রাজ” ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়?

  •  (A) বলবন্তরাই মেহতা     
  •  (B) রাজা জে. চেল্লাইয়া
  •  (C) অশোক মেহতা     
  • (D) রঞ্জিত সারকারিয়া

সঠিক উত্তর  (A) বলবন্তরাই মেহতা

ভারতের গণতন্ত্রে স্থানীয় স্বশাসনের ধারণা বাস্তবায়নের জন্য ১৯৫৭ সালে বলবন্তরাই মেহতা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ঘটানো।

  কমিটি তার রিপোর্টে তিন স্তরের পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা গঠনের সুপারিশ করে— গ্রাম পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পর্যায়ে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পর্যায়ে জিলা পরিষদ। পরবর্তীতে এই সুপারিশের ভিত্তিতেই ভারতে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা চালু হয়, যা স্থানীয় স্বশাসনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং গ্রামীণ গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করে তোলে। ১৯৯২ সালে ৭৩তম সাংবিধানিক সংশোধনী আইন দ্বারা এই ব্যবস্থা সংবিধানিক মর্যাদা পায়।

 Q13.ভারতের জাতীয় স্তবগান “জন গন মন” ভারতের সংবিধানে “জাতীয় সঙ্গীত” হিসেবে গৃহীত হয় 1950 সালের?

  • (A) 26শে জানুয়ারি   
  • (B) 24শে জানুয়ারি
  •  (C) 18ই জুলাই      
  •  (D) 22শে  সেপ্টেম্বর

সঠিক উত্তর (B) 24শে জানুয়ারি

ভারতের জাতীয় স্তবগান “জন গণ মন” প্রথমবার ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে গাওয়া হয়েছিল। স্বাধীন ভারতের সংবিধান প্রণয়নের পরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি এই গানকে ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মূল গানটি পাঁচ স্তবের, কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে সাধারণত এর প্রথম স্তবই গাওয়া হয়। “জন গণ মন” ভারতের জনগণের ঐক্য, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে এবং এটি দেশপ্রেমের অন্যতম প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত।

Q14. বর্তমানে ভারতের সংবিধানে কত গুলি আর্টিকেল আছে?
  •  (A) 467 টি              
  • (B) 395 টি
  •  (C) 475 টি       
  •  (D) 497 টি

 সঠিক উত্তর  (A) 467 টি

ভারতের সংবিধান ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ তারিখে কার্যকর হয়। সংবিধান রচনা কালে ৩৯৫টি ধারা নিয়ে গঠিত হয়েছিল । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংযোজন ও সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানকে আরও বিস্তার ও কার্যকর করার জন্য অনেক ধারার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতের সংবিধানে মোট ৪৬৭টি ধারা রয়েছে। এই ধারা গুলি কেন্দ্র ও রাজ্য, নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য, বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কাঠামোসহ দেশের সকল মূল কাঠামো ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে।

Q15. ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী “অর্থনীতি সংস্কারের জনক” নামে পরিচিত?
  •  (A) ডাঃমনমোহন সিং   
  • (B) ইন্দিরা গান্ধী
  • (C) জওহরলাল নেহরু     
  • (D) পি ভি নরসীমা রাও

সঠিক উত্তর  (D) পি ভি নরসীমা রাও

ভারতের “অর্থনীতি সংস্কারের জনক” নামে পরিচিত ছিলেন পি.ভি.নরসিমা রাও। তিনি ১৯৯১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যখন দায়িত্ব নেন, তখন দেশ একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটা ছিল। তাঁর নেতৃত্বে অর্থনীতিতে মৌলিক সংস্কার প্রবর্তিত হয়। যার মধ্যে ছিল মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু, সুদীর্ঘ সরকারের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস, বৈদেশিক বিনিয়োগ উন্নীত করা হয়েছে।

পরবর্তীকালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সুগম করেছিল। তাই তিনি অর্থনীতি সংস্কারের জনক হিসেবে স্মরণীয়। পি ভি নরসীমা রাওয়ের অর্থ মন্ত্রী ছিলেন ডাঃমনমোহন সিং। তিনি অর্থনীতিকে উদারীকরণ, প্রাইভেটাইজেশন, ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন।

Super gk Questions for Kolkata Police 2025

Q16. ভারতের কোন সম্রাট “সুলতানি যুগের আকবর” নামে পরিচিত?

  • (A) মহম্মদ বিন তুঘলক  
  • (B) ফিরোজ শাহ তুঘলক
  • (C) গিয়াসউদ্দিন তুঘলক 
  • (D) নাদির শাহ তুঘলক

সঠিক উত্তর (B) ফিরোজ শাহ তুঘলক

ফিরোজ শাহ তুঘলক “সুলতানি যুগের আকবর” নামে পরিচিত। কারণ তিনি তার শাসন কালে আকবরের মতো প্রশাসনিক দক্ষতা এবং কিছু ক্ষেত্রে ধর্মীয় সহনশীলতা প্রদর্শন করেছিলেন । অর্থনীতি ক্ষেত্রে তিনি জনসাধারণকে সহায়তা করেছিলেন। এই জনহিতকর কাজের জন্য ভারতের ইতিহাসে ফিরোজ শাহ তুঘলক সুলতানি যুগের আকবর” হিসেবে পরিচিত

       তিনি নতুন ধরনের মুদ্রা, যেমন জিতল, আধা-জিতল ইত্যাদি চালু করে মুদ্রাব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য করেন। প্রায় ২৫ ধরনের কর বাদ দিয়ে মাত্র চার ধরনের কর চালু করেন। এই করগুলো হল খারাজ (ভূমি কর),খামস (ধনসম্পদের) এক- পাচমাংশ),জিজিয়া (অ-মুসলিমদের উপর কর) এবং জাকাত (মুসলিমদের ধর্মীয় কর)। কর্মচারী ও সৈনাদের বেতনের পরিবর্তে জায়গীর প্রদান করেন। তিনি বহু হাসপাতাল, কলেজ, মসজিদ, ব্রীজ, শহর এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করেন।

Q17. ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারার মাধ্যমে “রাষ্ট্রপতিকে পদচুত্য” করা যায়?

  • (A) 51 ধারা      
  •  (B) 52 ধারা
  •  (C) 56 ধারা         
  • (D) 61 ধারা

সঠিক উত্তর (D) 61 ধারা

ভারতের সংবিধানের ধারা ৬১ এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত (ইমপিচ) করার প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি গুরুতর দোষ প্রমাণিত হলে তাকে পদচ্যুত করা যেতে পারে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করার জন্য ভারতের সংবিধানের ধারা ৬১ প্রযোজ্য।

Q18. ব্রিটিশ শাসকরা কাকে “বিক্ষোভ কারি” নেতা হিসেবে অভিহিত করেন?

  • (A) গোপালকৃষ্ণ গোখলে
  • (B) সুভাষচন্দ্র বোস
  • (C) মহাত্মা গান্ধী    
  • (D) বালগঙ্গাধর তিলক

সঠিক উত্তর (D) বালগঙ্গাধর তিলক

বালগঙ্গাধর তিলককে ব্রিটিশ শাসকরা “ভারতীয় অস্থিরতার জনক” (পলিটিক্যাল আনরেস্ট ) বা “বিক্ষোভকারী নেতা” হিসেবে অভিহিত করতেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম প্রমুখ নেতাদের একজন এবং হোমরুল আন্দোলনের জনক ছিলেন। তিনি গণপতি ও শিবাজী উৎসব চালু করেন।   

তিলক বোম্বে ও মারাঠা নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং স্বরাজ দাবির জন্য স্লোগান প্রচার করে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন চালিয়েছিলেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনের কঠোর সমালোচক এবং অসহযোগ আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন।

Q19. মানব দেহের কোন অঙ্গ “জার্মান চিরুনি” নামে পরিচিত?
  • (A) পায়ের আঙুল    
  • (B) হাতের আঙুল
  • (C) মাথার খুলি       
  • (D) বক্ষপিঞ্জর

সঠিক উত্তর (B) হাতের আঙুল

মানব দেহের আঙুলকে “জার্মান চিরুনি” বলা হয়। হাতের আঙুলগুলোর আকার চিরুনির মতো লম্বাটে এবং সজ্জিত হওয়ায় এই নামকরণ হয়েছে। এটি সাধারণত গ্রিপ ধরার কাজে সাহায্য করে এবং সূক্ষ্ম কাজ সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আঙুলগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন, লেখালেখি, খাবার খাওয়া, বস্তু ধরার মতো কাজগুলোতে অপরিহার্য। এদের সৌন্দর্য এবং কার্যকারিতা মিলেই হাতের আঙুলকে ‘জার্মান চিরুনি’ বলে পূজা করা হয়।

Super gk Questions for Kolkata Police 2025

Q20. পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় “ঝুমুর নৃত্য” বিখ্যাত?

  •  (A) কোচবিহার    
  •  (B) পুরুলিয়া
  •  (C) পূর্ব মেদনিপুর      
  •  (D) নদীয়া

সঠিক উত্তর (B) পুরুলিয়া

পুরুলিয়া জেলা ঝুমুর নৃত্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। ঝুমুর নৃত্য হলো একটি লোকনৃত্য ও গানের সংমিশ্রণ, যা পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার কিছু অংশেও প্রচলিত। পুরুলিয়ায় ঝুমুর নৃত্য বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়। এটি মূলত আদিবাসী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির অংশ, যেখানে গানের সুর, তাল ও ঢোলের নৃত্যের মেলবন্ধন ঘটে।  

  পুরুলিয়ার ঝুমুরে আছে বিভিন্ন ধরণের সুর, যেমন ডহরওয়া, বেঁগাড়ি, ঝুমরা, রিঁঝামাঠা ইত্যাদি। এর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। ঝুমুর মূলত কৃষিকাজের পর আনন্দ উদযাপনের রূপ, যেখানে গানের সঙ্গে মিলিয়ে নাচের ছন্দ থাকে। নৃত্যশিল্পীরা রঙিন পোশাক ও গহনায় সজ্জিত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ঢোল ও তালের সঙ্গে নৃত্য করে। এছাড়াও ছৌ নৃত্য দারুন জনপ্রিয়।

Conclusion :

ভারতের ভূগোল, ইতিহাস, পোলিটি, অর্থনীতি, এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য জানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা IAS, WBCS, WBP, KP, SSC, Banking এবং অন্যান্য পরীক্ষায় সহায়ক হবে। নিয়মিত এখানে ভিজিট করে আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এবং পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসী হোন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরও সরাসরি, গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষাভিত্তিক তথ্য পাবেন যা আপনাকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ সবাইকে – । পরের পোস্ট গুলি দেখুন !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top