
Introduction :
রেলওয়ে গ্রুপ ডি পরীক্ষা হলো ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত এবং নিরাপদ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সোপান। প্রতি বছর, দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভারতীয় রেলওয়েতে স্থান পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। Railway group D latest question 2025 এই পরীক্ষা কেবল জ্ঞানের নয়, বরং ধৈর্য, মনোযোগ এবং অধ্যাবসায়ের পরীক্ষা। নিয়মিত প্রস্তুতি এবং সঠিক কৌশলের মাধ্যমে সাফল্য আপনার হাতেই। মনে রাখবেন, প্রতিটি অনুশীলিত প্রশ্ন এবং প্রতিটি অর্জিত ধারণা আপনাকে ভারতের এই জীবনের রগ রেলওয়ের কর্মজীবনের এক ধাপ কাছে নিয়ে আসে। বড় স্বপ্ন দেখুন, কঠোর পরিশ্রম করুন এবং আজই আপনার রেলওয়ে যাত্রা শুরু করুন!
Q1. ভারতে সর্ব-প্রথম জনগনা করা হয় সালে কবে ?
- (A) 1872 সালে
- (B) 1885 সালে
- (C) 1900 সালে
- (D) 1905 সালে
সঠিক উত্তর (A) 1872 সালে
ভারতে প্রথমবারের মতো জনগণনা আয়োজিত হয় ১৮৭২ সালে। ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মেয়ো ভারতের জনগণনা করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন । এটি ছিল জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত প্রথম প্রচেষ্টা, যদিও পুরো দেশের তথ্য একত্রিত করা সম্ভব হয়নি এবং এটি সম্পূর্ণভাবে সমন্বিত ছিল না। তারপরেও, এটি ভারতের প্রশাসনিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে ধরা হয়।
আরও দশ বছর পরে ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড রিপন দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ও সরকারি ভাবে জনগণনা পরিচালনা করেন ১৮৮১ সালে। এই জনগণনাটিই পরবর্তী সকল জনগণনার জন্য মানদণ্ড স্থাপন করে এবং ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সরকারি জনগণনা হিসেবে স্বীকৃত।
Q2.পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় “মহিলা ও পুরুষের” অনুপাত সবথেকে বেশি ?
- (A) কলকাতা
- (B) পর্ব মেদনীপুর
- (C) জলপাইগুড়ি
- (D) দার্জিলিং
সঠিক উত্তর (D) দার্জিলিং
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে দার্জিলিং জেলা মহিলা ও পুরুষ অনুপাতের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। প্রতি ১,০০০ পুরুষের জন্য প্রায় ৯৭০ জন মহিলা রয়েছে, যা রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এটি ২০১১ সালের জনগণনার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ।
যদিও ২০২১ সালের জনগণনা প্রকাশিত হয়নি, তবে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী দার্জিলিংয়ে লিঙ্গ অনুপাত সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই জেলার অনুপাত প্রমাণ করে যে, এখানে মহিলা ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান। এ ধরনের তথ্য জনসংখ্যা বিশ্লেষণ এবং সামাজিক পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Q3. সর্ব-প্রথম কত সালে “লোকপাল বিল” সংসদে উপস্থাপন করা হয়?
- (A) মে 1968
- (B) সেপ্টেম্বর 1980
- (C) জুলাই 1982
- (D) জুন 1985
ভারতে সর্বপ্রথম লোকপাল বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয় ১৯৬৮ সালে। এই বিলের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি রোধ করা এবং জনসাধারণের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। তারপর ১৯৬৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিলটি পুনঃউপস্থাপন করা হয়, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তা কার্যকর হয়নি। এই বিলটি লোকসভায় পেশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে।
২০১১ সালের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পর, বিশেষ করে অন্না হাজারের নেতৃত্বে, এই বিল আবার নতুন করে গুরুত্ব পায়। অবশেষে, ২০১৩ সালে সংসদ দুর্নীতি প্রতিরোধক আইন, ২০১৩ (লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন) পাশ করে। এই আইনের মাধ্যমে দেশে প্রথম স্থায়ী লোকপাল এবং রাজ্য স্তরের লোকায়ুক্ত কার্যকর হয়।

Q4. “ফরওয়ার্ড ব্লক” দলের প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ?
- (A) সুভাষচন্দ্র বসু
- (B) শঙ্কারলাল
- (C) কোভিষের
- (D) বিশ্বনাথ ত্রিপাঠি
সঠিক উত্তর (A) সুভাষচন্দ্র বসু
ফরওয়ার্ড ব্লক দলের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শংকর লাল। ১৯৩৯ সালের মে মাসের ৩ তারিখে মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের নামে একটি নতুন দল গঠিত হয়। এই প্রথম সম্মেলনে একটি বামপন্থী কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে সুভাষচন্দ্র বসু সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন লালশংকর লাল।
কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন পণ্ডিত বি. ত্রিপাঠী এবং কে. এফ. নরিম্যান, যারা মুম্বাই থেকে সম্পাদকীয় কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এইভাবে, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শংকর লাল। ফরওয়ার্ড ব্লক দল ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
Q5. ভারতের কোন খেলোয়াড় “আসাম এক্সপ্রেস” নামে পরিচিত ?
- (A) ভানু মানকার
- (B) গগন নারাঙ্গ
- (C) হিমা দাস
- (D) স্বপ্না বর্মন
সঠিক উত্তর (C) হিমা দাস
হিমা দাস ভারতের এক প্রতিভাবান অ্যাথলেট। বর্তমান ভারতে হিমা দাস আসাম এক্সপ্রেস এবং “ধিং এক্সপ্রেস” নামে পরিচিত। তিনি আসামের ধিং জেলার অধিবাসী এবং ছোটবেলা থেকেই দৌড়বিদ্যার প্রতি আকৃষ্ট। হিমা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের জন্য স্প্রিন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ২০১৮ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার রিলে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
তার অসাধারণ গতি ও ধৈর্য তাকে দেশের যুব ও সিনিয়র প্রতিযোগিতায় সফল করেছে। হিমা দাস ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের নতুন প্রজন্মের প্রতীক হিসেবে উদীয়মান এবং দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি অনন্য স্থান অর্জন করেছেন।
Q6.পশ্চিমবঙ্গের কয়টি জেলা বাংলাদেশের সীমারেখা স্পর্শ করে আছে ?
- (A) 8 টি
- (B) 9 টি
- (C) 10 টি
- (D) 11 টি
সঠিক উত্তর (C) 10 টি
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত স্পর্শকারী জেলা মোট ১০টি। এই জেলারা দেশের সঙ্গে প্রায়শই বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তবর্তী এই জেলাগুলি হলো: কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
এই জেলা গুলি শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, ইতিহাস ও জনসংখ্যার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তের প্রভাবে এখানকার অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাত্রায় বিশেষ প্রভাব পড়ে।
Q7. “দ্যা সার্ভে অফ ইন্ডিয়া” কত সালে গঠিত হয় ?
- (A) 1757 সালে
- (B) 1765 সালে
- (C) 1767 সালে
- (D) 1775 সালে
সঠিক উত্তর (C) 1767 সালে
ব্রিটিশ ভারতে “দ্যা সার্ভে অফ ইন্ডিয়া” প্রতিষ্ঠিত হয় 1767 সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর জমি জরিপ করার উদ্দ্যেশে। এটি ভারতের একটি প্রাচীনতম সরকারি জমি জরিপ ও গবেষণামূলক সংস্থা এর সরকারী কার্যকাল শুরু হয় 1770 খ্রিস্টাব্দে। সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহ করা, সঠিক মানচিত্র প্রস্তুত করা এবং জরিপ কাজ সম্পন্ন করা। ব্রিটিশ শাসনের সময় এটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল, কারণ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রশাসনিক ও সামরিক পরিকল্পনার জন্য মানচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সংস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে এবং আজও ভারতের মানচিত্রায়ন, ভূ-পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত জরিপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। “দ্যা সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার” প্রতিষ্ঠাতা হলেন মেজর জেমস রেনেল।

Q8. ভারতে কবে “ক্রেতা সুরক্ষা আইন” চালু হয় ?
- (A) 1993 সালে
- (B) 1997 সালে
- (C) 1986 সালে
- (D) 1989 সালে
সঠিক উত্তর (C) 1986 সালে
ভারতে “ক্রেতা সুরক্ষা আইন” প্রথমবার চালু হয় ১৯৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর। এই আইন ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা ও তাদের ক্ষতির প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত হয়েছিল।
বর্তমান যুগের প্রযুক্তি এবং ই-কমার্সের বিস্তারের কারণে আইনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যাওয়ায় এটি ২০১৯ সালে নতুন করে সংশোধন করা হয় । আধুনিক আইনে ই-কমার্স, ডিজিটাল পেমেন্ট, অনলাইন অভিযোগ দাখিল এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা ও দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
Q9. ভারতের “প্রত্নতত্ত্বের জনক” কাকে বলা হয় ?
- (A) জন মার্শাল
- (B) কলিং ম্যাকেঞ্জি
- (C) গর্ডন চাইল্ড
- (D) আলেক্সান্ডার ক্যানিংঘাম
সঠিক উত্তর (D) আলেক্সান্ডার ক্যানিংঘাম
ভারতের প্রত্নতত্ত্বের জনক হিসেবে সুপরিচিত ব্যক্তি হলেন সার আলেকজান্ডার কানিংহাম। ১৮৬১ সালে তিনি “দ্যা সার্ভে অফ ইন্ডিয়া” প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতের প্রত্নতত্ত্বের আধুনিক অধ্যয়নের পথপ্রদর্শক হন।
কানিংহাম মূলত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি ভারতীয় ইতিহাস এবং প্রাচীন স্মৃতিসৌধে গভীর আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং দেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও নিদর্শন খুঁজে বের করে জরিপ করেন। তাঁর এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে তিনি ভারতীয় প্রত্নতত্ত্বের জনক নামে পরিচিত।
Q10. ভারতে কে “দু-আসপা শি-আসপা” নামে পরিচিত?
- (A) জাহাঙ্গীর
- (B) ঔরঙ্গজেব
- (C) আকব
- (D) শাহজাহান
সঠিক উত্তর (A) জাহাঙ্গীর
ভারতে “দু-আসপা শি-আসপা” নামে পরিচিত ব্যবস্থা চালু করেছিলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর। এই ব্যবস্থা মনসবদারদের জন্য প্রযোজ্য ছিল, যাতে তারা তাদের “জাট” পদমর্যাদা বাড়ানো ছাড়াই দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ সংখ্যক ঘোড়া ও সৈন্য রাখতে পারে।
“দু-আসপা” কথার অর্থ হলো একজন সৈন্যের জন্য দুই ঘোড়া রাখা। আর “শি-আসপা” কথার মানে হল তিন ঘোড়া রাখা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত আভিজাত্যরা সৈন্যদের একটি বৃহত্তর কোটা বজায় রাখতে পারতেন।এটি সামরিক প্রস্তুতি এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল।
Q11. ভারতের কোন রাজ্যে প্রথম “মানবাধিকার কমিশন” গঠিত হয়?
- (A) উত্তরপ্রদেশ
(B) মহারাষ্ট্র
(C) তামিলনাড়ু
(D) পশ্চিমবঙ্গ
সঠিক উত্তর (D) পশ্চিমবঙ্গ
ভারতে প্রথম জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। এটি দেশের নাগরিকদের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত হয়। এর ২ বছর পর, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম রাজ্য মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয় ১৯৯৫ সালে।
এই কমিশন রাজ্যের নাগরিকদের অধিকার রক্ষা, পুলিশি নির্যাতন, সরকারি শোষণ ও সামাজিক অবিচারের অভিযোগ তদন্ত করে। এছাড়া, এটি জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকারের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। পশ্চিমবঙ্গের এই পদক্ষেপ নাগরিকদের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
Q12. ভারতের কোন শাসকের রাজধানীর নাম “শিয়ালকোট”?
- (A) যশোবার্ধন
- (B) স্কন্দগুপ্ত
- (C) মিনান্দার 1
- (D) দ্বিতীয় পুলকেশী
সঠিক উত্তর (C) মিনান্দার 1
মিনান্দার ছিলেন অন্যতম বিখ্যাত ও প্রভাবশালী ইন্দো-গ্রিক সম্রাট, যিনি বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। তাঁর শাসন সাম্রাজ্য উত্তর ভারতের বিস্তৃত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, এবং তিনি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মিনান্দার ছিলেন একজন ইন্দো-গ্রিক শাসক, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৬৫ থেকে ১৩০ সালের মধ্যে শাসন করেন। তাঁর রাজধানী ছিল পাঞ্জাবের শিয়ালকোট বা শকল।

Q13. রাজা দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজধানীর নাম কি ?
- (A) বাদামি
- (B) কান্যকুব্জ
- (C) পাণ্ডয়া
- (D) কর্ণসুবর্ণ
সঠিক উত্তর (A) বাদামি
বাদামী চালুক্য বংশের মূল রাজধানী ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। যা দ্বিতীয় পুলকেশীর শাসনকালে শক্তিশালী সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করত। তিনি তাঁর রাজত্বকালে সাম্রাজ্য বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেন, এবং তাঁর এই কীর্তি আইহোল শিলালিপি-তেও উল্লেখ রয়েছে।
রাজা দ্বিতীয় পুলকেশী ছিলেন দক্ষিণ ভারতের বাতাপির চালুক্য বংশের একজন শক্তিশালী সম্রাট। তাঁর প্রাচীন রাজধানী ছিল বর্তমান কর্ণাটকের বাদামী শহর।
Q14. ভারতের কোন শহরে “জাতীয় কংগ্রেস” প্রতিষ্ঠা লাভ করে ছিল?
- (A) কলকাতা
- (B) মুম্বাই
- (C) চেন্নাই
- (D) দিল্লি
সঠিক উত্তর (B) মুম্বাই
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রথমবার ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় মুম্বাই শহরে। কংগ্রেস পার্টি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে উদ্ভূত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এটি সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক সচেতনতা দেওয়ার, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালানোর এবং দেশের স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে।
প্রারম্ভিক পর্যায়ে কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক সংস্কার আনা, কিন্তু পরবর্তীতে এটি স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজও এটি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়
Q15. “কিষান ক্রেডিট কার্ড” স্কিম কত সালে চালু হয়?
- (A) 1979 সালে
- (B) 1991 সালে
- (C) 1998 সালে
- (D) 1995 সালে
সঠিক উত্তর (C) 1998 সালে
কিষান ক্রেডিট কার্ড কৃষকদের আর্থিক স্বাবলম্বিতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি দেশের কৃষি উন্নয়নে একটি নতুন দিক এবং সমৃদ্ধ কৃষি অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহায়ক। ভারতে কিষান ক্রেডিট কার্ড স্কিম চালু হয় ১৯৯৮ সালে।
এই স্কিমের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের জমির ভিত্তিতে সহজে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন, যা কৃষি উৎপাদন ও উপকরণ ক্রয়ে ব্যবহার করা যায়। স্কিমটি ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ সুবিধা প্রদান করে, যাতে তারা সার, বীজ, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য কৃষি কার্যক্রমের জন্য অর্থের সমস্যা ছাড়াই কাজ করতে পারেন।



