
Introduction : 🚨কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষা
পশ্চিমবঙ্গের তরুণ প্রজন্ম সবসময়ই শিক্ষা ও চাকরির মাধ্যমে নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্য প্রমাণ করার সুযোগ খুঁজে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যে যেমন WBSSC, WBCS, স্কুল সার্ভিস , PSC, ETS প্রভৃতি পরীক্ষা রয়েছে। কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষাও একটি বিশেষ ও সম্মানজনক ক্যারিয়ারের।Kolkata Police Constable Prelims Exam 2025 ।
কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল হওয়া মানে শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়া নয়, এটি একটি দায়িত্ব, সততা এবং সাহসের প্রতীক। যারা এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তারা শুধু নিজেদেরকে একটি চাকরির জন্য নয়, বরং শহরের জনগণের সেবা করার জন্যও প্রস্তুত করে তোলে। কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষার প্রশ্ন গুলি নিচে দেওয়া হল — যাতে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনে আরও দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।
সাহস, অধ্যবসায় ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবতার রূপ দিন।
Q1.ভারতে “পণ প্রথা বিরোধী” আইন কবে চালু হয়?
- (A) 1960 সালে
- (B) 1961 সালে
- (C) 1975 সালে
- (D) 1989 সালে
সঠিক উত্তর (B) 1961 সালে
ভারতে পণ প্রথা এক গভীর সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রতিরোধ করার জন্য সরকার ১৯৬১ সালে “পণ নিষেধ আইন” প্রণয়ন করে। এই আইনের মাধ্যমে বিবাহের সময় পণ দেওয়া বা নেওয়া উভয়ই দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে আইনে সংশোধন আনা হয়। যাতে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয় এবং নারীদের সুরক্ষা আরও জোরদার করা হয়। এই আইন সমাজে নারীর সম্মান ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবুও, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে পণ প্রথা আজও বিদ্যমান, যা দূর করতে সচেতনতা প্রয়োজন।
Q2. ভারতে কবে “Special Marriage Act”পাশ হয়?
- (A)1950 সালে
- (B)1955 সালে
- (C)1954 সালে
- (D)1965 সালে
সঠিক উত্তর (C) 1954 সালে
ভারতে “Special Marriage Act” পাশ হয় ১৯৫৪ সালে এবং এটি কার্যকর হয় ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন ধর্ম, জাত বা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে আইনত বিবাহের সুযোগ সৃষ্টি করা।
এটি একটি নাগরিক বিবাহ আইন (Civil Marriage Law), যেখানে ধর্মীয় আচার বা প্রথার প্রয়োজন হয় না। এই আইন অনুযায়ী, বিবাহের জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি এবং নির্দিষ্ট বয়স থাকা আবশ্যক। সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমতার ধারণা প্রতিষ্ঠায় এই আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে আন্তঃধর্মীয় ও স্বাধীন বিবাহের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে।
Q3. কোন বায়ুমণ্ডলীয় শাখার জন্য ভারতে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়?
- (A) আরব সাগরীয়
- (B) বঙ্গোপসাগরীয়
- (C) ভূমধ্যসাগরীয়
- (D) বাংলাদেশীয়
সঠিক উত্তর (B) বঙ্গোপসাগরীয়
ভারতের বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় শাখা দেশের বৃষ্টিপাতের বৈচিত্র্য নির্ধারণ করে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি আনে। এর আরব সাগরীয় শাখা পশ্চিম উপকূলের কেরল, কর্ণাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্রে ভারী বর্ষণ ঘটায়।
আর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচুর বৃষ্টি আনে। শীতকালে উত্তর-পূর্ব বা শীতকালীন বায়ু তামিলনাড়ু, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষণ ঘটায়। একইভাবে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু হিমালয় অঞ্চল ও দক্ষিণ ভারতের তটরেখায় আর্দ্রতা নিয়ে আসে। এই শাখাগুলোর কারণে ভারতের জলবায়ু বৈচিত্র্যময় এবং বর্ষণ বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন মাত্রায় ঘটে।
Q4. মেঘালয়ের “মৌসিনরামে” গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত সেমি?
- (A) 1350 সেমি
- (B) 1260 সেমি
- (C) 1153 সেমি
- (D) 1345 সেমি
সঠিক উত্তর (C) 1153 সেমি
মেঘালয়ের মৌসিনরাম অঞ্চলের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ৪৫০ থেকে ১১০০ সেন্টিমিটার । মিলিমিটার হিসাবে প্রায় ৪৫০০ থেকে ১১,০০০ মিমি পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে।
এখানে বৃষ্টিপাত বেশি বৃষ্টিপাতের কারণ হলো দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা, যা আর্দ্র বায়ু নিয়ে এসে মেঘালয় মালভূমির শীতল পাহাড়ে সংঘর্ষের ফলে, চেরাপুঁজি ও মৌসিনরাম নামক পাহাড়ী উপত্যকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। মেঘালয়ের মৌসিনরাম পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতপূর্ণ অঞ্চল।এর ফলে এখানকার সবুজ জঙ্গল, নদী ও জলপ্রপাত অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

Q5. ভারতের সর্বাধিক উষ্ণতম স্থান কোনটি?
- (A) বিকানি
- (B) ফালৌদি
- (C) জয়পুর
- (D) দ্রাস
সঠিক উত্তর (B) ফালৌদি
ভারতের সর্বাধিক উষ্ণতম স্থান হলো রাজস্থানের ফালৌদি যেখানে ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৫২.৩°C। ফালৌদি মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অত্যন্ত উঁচু হয়ে ওঠে। বিকানি, জয়পুর ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশও উষ্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এত উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এখানে গরমের সময় জীবনযাপন, কৃষি ও জল সংরক্ষণ কঠিন হয়ে যায়। এর ফলে দেশের জলবায়ুর বৈচিত্র্য রোমান্টিক চিত্রনাট্য প্রদর্শন করে।
Q6. ভারতের কোন রাজ্যে বছরে দুই বার “বর্ষাকাল” হয়?
- (A) কেরালা
- (B) তামিলনাড়ু
- (C) অন্ধ্রপ্রদেশ
- (D) পশ্চিমবঙ্গ
সঠিক উত্তর (B) তামিলনাড়ু
ভারতে বছরে দুই বার বর্ষাকাল হয় প্রধানত তামিলনাড়ু রাজ্যে। তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গ্রীষ্মকালীন বর্ষার পাশাপাশি শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর কারণে দ্বিতীয়বার বর্ষাকাল হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পশ্চিমঘাট পারাপার হয়ে করমণ্ডল অঞ্চলে বৃষ্টি নিয়ে আসে। শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে বাষ্প ধারণ করে করমণ্ডল উপকূলে প্রবেশ করে এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে এখানে বছরে দুই বার বর্ষাকাল দেখা যায়।
Q7. ভারতের আবহাওয়া “দপ্তর”কোথায় আছে?
- (A) চেন্নাই
- (B) মুম্বাই
- (C) কলকাতা
- (D) দিল্লি
সঠিক উত্তর (D) দিল্লি
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর India Meteorological Department- (IMD) নামে পরিচিত। -এর সদর দপ্তর নয়াদিল্লিতে অবস্থিত। এটি ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে এবং দেশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস এবং ভূমিকম্পবিদ্যা বিষয়ক প্রধান সংস্থা।
IMD-এর আঞ্চলিক অফিস এবং পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো চেন্নাই, মুম্বাই, কলকাতা, নাগপুর, গুয়াহাটি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। এছাড়া, IMD গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও সতর্কতা প্রদানসহ বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে, যা ভারতের কৃষি, জনজীবন ও নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Q8. “Cherry Blossom”-এর মাধ্যমে কোন ফসল ভালো হয়?
- (A) চা
- (B) পাট
- (C) কফি
- (D) বাজরা
সঠিক উত্তর- (C) কফি
ভারতে কফি চাষ প্রধানত দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি ও আদ্র অঞ্চলে হয়। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় কর্ণাটকের কোডাগু জেলায়, যা ভারতের কফি উৎপাদনের হাব হিসেবে পরিচিত। এছাড়া কেরলের মালাবার উপকূল ও তামিলনাড়ুর নিলগিরি পাহাড়ি এলাকাতেও প্রচুর কফি চাষ হয়।
উত্তর-পূর্ব ভারতের অসাম ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে সীমিত পরিমাণে কফি চাষ হয়। এই অঞ্চলগুলোতে আদ্র ও উষ্ণ জলবায়ু, উঁচু পাহাড়ি ভূমি এবং সমৃদ্ধ মাটি কফি গাছের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। তাই ভারতের কফি চাষ মূলত এই বিশেষ অঞ্চলগুলোতে কেন্দ্রীভূত।
Q9. ভারতে “আশ্বিনের ঝড়ের” প্রধান কারণ কি?
- (A) পশ্চিমীঝঞ্ঝা
- (B) মৌসুমী বায়ু
- (C) এল নিনো
- (D) লা – নিনা
সঠিক উত্তর (B) মৌসুমী বায়ু
ভারতে “আশ্বিনের ঝড়” মূলত মৌসুমী বায়ুর বিস্ফোরণের কারণে হয়। আশ্বিন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা শেষ হওয়ার পর উত্তরের দিকে বায়ুর চাপের পার্থক্য দেখা দেয়। বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ জল বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসকে উত্তেজিত করে, যার ফলে নিম্নচাপীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়।
এই নিম্নচাপ ঘূর্ণায়মান হয়ে ঝড়ের আকার নেয়। এছাড়া মৌসুমের স্থানান্তর এবং চাপের অস্থিরতা আশ্বিনের ঝড়কে আরও শক্তিশালী করে। তাই আশ্বিনের ঝড়ের প্রধান কারণ হলো মৌসুমী বায়ু, যা বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ জল ও বায়ুর চাপের পার্থক্যের সঙ্গে মিলে ঝড় সৃষ্টি করে।

Q10.মৌসুমী বায়ুর কোন শাখার দ্বারা “মৌসুমী বায়ুর বিস্ফোরণ” ঘটে?
- (A) আরব সাগরীয়
- (B) ভূমধ্যসাগরীয়
- (C) বঙ্গোপসাগরীয়
- (D) উত্তর-পূর্ব বায়ুমণ্ডলীয়
সঠিক উত্তর (C) বঙ্গোপসাগরীয়
ভারতে “মৌসুমী বায়ুর বিস্ফোরণ” প্রধানত ঘটে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখার কারণেই। গ্রীষ্মকালে তিব্বতের উচ্চ মালভূমি ও ভারতের ১৫° উত্তর অক্ষরেখার উত্তরে প্রতীপ ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়, যার কারণে উচ্চস্তরের পূবালী জেটস্ট্রীম গড়ে উঠে। এই পূবালী জেটস্ট্রীমের প্রভাবে বজ্রপাত, মেঘাচ্ছন্নতা ও ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হঠাৎ ভারতে প্রবেশ করে তাকে মৌসুমী বায়ুর বিস্ফোরণ বলা হয়।
Q11. মহারাণী ভিক্টোরিয়াকে “ভারত সাম্রাজ্ঞী” উপাধি দেওয়া হয় কত সালে?
- (A) 1868 সালে
- (B) 1876 সালে
- (C) 1886 সালে
- (D) 1892 সালে
সঠিক উত্তর (B) 1876 সালে
মহারাণী ভিক্টোরিয়াকে “ভারত সাম্রাজ্ঞী” উপাধি দেওয়া হয় ১৮৭৬ সালে। তিনি সেই উপাধি ১ মে ১৮৭৬ সালে গ্রহণ করেন এবং ১ জানুয়ারি ১৮৭৭-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সম্রাজ্ঞী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভারতের ওপর শাসনকে দৃঢ় করার এবং ভারতীয় রাজাদের ওপর তাদের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
এই উপাধিটি মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ সম্রাজ্ঞী হিসেবে মর্যাদা দেয়-। যদিও তিনি নিজে ভারতে উপস্থিত ছিলেন না। এটি ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব ও রাজনৈতিক কৌশলকে প্রতিফলিত করে।
Q12. ভারতের কোন গভর্নর জেনারেল প্রথম “পুলিশি ব্যবস্থা” প্রবর্তন করেন?
- (A) রবার্ট ক্লাইভ
- (B) লর্ড ওয়েলেসলি
- (C) ওয়ারেন হেস্টিংস
- (D) লর্ড কর্ণওয়ালিস
সঠিক উত্তর (C) ওয়ারেন হেস্টিংস
ভারতের প্রথম “পুলিশি ব্যবস্থা” প্রবর্তন করেন গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে। তিনি বর্ধমান, মালদা, নদীয়া সহ কয়েকটি জেলার জন্য প্রাথমিক পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন, যা মূলত আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীভূত করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল। এই পদক্ষেপকে আধুনিক ভারতীয় পুলিশ ব্যবস্থার প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
Q13. ভারতের “ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের” সময় বাংলার গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
- (A) রবার্ট ক্লাইভ
- (B) লর্ড কার্টিয়ার
- (C) ওয়ারেন হেস্টিংস
- (D) লর্ড কর্ণওয়ালিস
সঠিক উত্তর (B) লর্ড কার্টিয়ার
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ঘটে 1176 বঙ্গাব্দে এবং 1770 খ্রিস্টাব্দে। -এটি বাংলার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি সবচেয়ে ভয়ানক ও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ অধ্যায়। এই সময় লর্ড কার্টিয়ার বাংলার গভর্নর ছিলেন। দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ ছিল দীর্ঘমেয়াদী খরা, ফসলের ব্যর্থতা এবং কোম্পানির উচ্চ ব্যবস্থা।
ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির কারণে লাখো মানুষ মারা যায়, গ্রামাঞ্চল তীব্র ক্ষুধায় ভুগে। লর্ড কার্টিয়ারের প্রশাসন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়। এই দুর্ভিক্ষ বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলে এবং জনসংখ্যার বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Q14. ভারতে “প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি” কোথায় আয়োজন করা হয়েছিল?
- (A) কাশ্মীর
- (B) পাটনা
- (C) রাজগির
- (D) বৈশালী
সঠিক উত্তর (C) রাজগির
ভারতে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজগৃহে, যা বর্তমানে রাজগির নামে পরিচিত। এটি গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনিব্বাণের ঠিক পরবর্তী বর্ষাকালের দ্বিতীয় মাসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সংগীতির সভাপতিত্ব করেছিলেন স্থবির মহাকশ্যপ, এবং এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজা অজাতশত্রু।
এতে বুদ্ধের বাণী সংরক্ষণ করা হয় এবং সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়। এছাড়া, এই সংগীতির সময় আনন্দসুত্তপিটক ও বিনয়পিটক রচনা করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে এটিকে প্রথম পরিষদ হিসেবে গণ্য করা হয়।

Q15. সমুদ্রগুপ্তকে “ভারতের নেপোলিয়ন” উপাধি দিয়েছিলেন কোন ঐতিহাসিক?
- (A) ভিনসেন্ট স্মিথ
- (B) পর্যটক ফা-হিয়েন
- (C) অমলেশ ত্রিপাঠি
- (D) রোমিলা থাপা
সঠিক উত্তর (A) ভিনসেন্ট স্মিথ
সমুদ্রগুপ্তকে “ভারতের নেপোলিয়ন” উপাধি দিয়েছিলেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ডঃ ভিনসেন্ট স্মিথ। তিনি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী সম্রাট, যিনি ভারতীয় উপমহাদেশে বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিভিন্ন রাজাকে পরাজিত করে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন করেছিলেন। সম্রাট হিসেবে তার অসাধারণ সামরিক কৌশল, বিজয়ী অভিযান এবং প্রশাসনিক দক্ষতা তাকে ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্য প্রায় হিমালয় থেকে নর্মদা নদী এবং ব্রহ্মপুত্র থেকে গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি শুধু শক্তি প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং কলা, সাহিত্য এবং বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের সমর্থনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজাকে করদ রাজ্যে পরিণত করার পাশাপাশি তিনি অর্থনীতি ও শাসনব্যবস্থায় স্থায়িত্ব আনেন। সমুদ্রগুপ্তের শাসনামল ভারতীয় ইতিহাসে এক স্বর্ণযুগের সূচনা হিসেবে গণ্য হয়।
Q16. পশ্চিমবঙ্গের “পাখি বিতান” অভয়ারণ্য কোন জেলায় আছে?
- (A) দার্জিলিং
- (B) জলপাইগুড়ি
- (C)পুরুলিয়া
- (D) নদীয়া
সঠিক উত্তর (B) জলপাইগুড়ি
পশ্চিমবঙ্গের “পাখি বিতান” নামক অভয়ারণ্যটি জলপাইগুড়ি জেলার বিখ্যাত গাজল ডোবা টুরিস্ট স্পটে অবস্থিত। এটি পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই অভয়ারণ্যের মাধ্যমে জলাভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির জলজ এবং পরিযায়ী পাখির পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়। জলপাইগুড়ির এই স্থানকে পশ্চিমবঙ্গের পাখি পর্যবেক্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
Q17. “নেওরা ভ্যালি” ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় আছে?
- (A) দার্জিলিং
- (B) দক্ষিণ 24 পরগণা
- (C) কালিম্পং
- (D) আলিপুরদুয়ার
সঠিক উত্তর – (A) দার্জিলিং
“নেওরা ভ্যালি” ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা অবস্থিত। এটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করেছে। পার্কটি সবচেয়ে বিখ্যাত বন্যপ্রাণী হলো লাল পান্ডা, যা একটি দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতি।
নেওরা উপত্যকা একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ এলাকা, যা হিমালয়ের বিভিন্ন উচ্চতার গাছপালা এবং প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। পার্কটি সিকিম এবং ভুটান সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এবং প্রচুর জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
Q18. “দাসবংশের” শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন?
- (A) কুতুব উদ্দিন আইবক
- (B) গিয়াসউদ্দিন বলবন
- (C) ইলতুৎমিস
- (D) আরাম শাহ
সঠিক উত্তর (B) গিয়াসউদ্দিন বলবন
দাসবংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন গিয়াসউদ্দিন বলবন। তিনি এক সময় দাসবংশের প্রধান নায়ক ছিলেন এবং চল্লিশ চক্রের ক্রীতদাস ছিলেন। বলবন বাংলার বিদ্রোহী নেতা তুঘ্রিল খাঁকে পরাজিত করেন এবং মেওয়াটি দস্যুদের দমন করেন।
তিনি পারসিক দৃষ্টান্ত মেনে দরবারে সিজদা ও পাইবস নামে বিশেষ রীতি চালু করেন এবং নিজেকে ‘জিল্লিলাহ’ বা আল্লার ছায়া উপাধি দিয়ে সম্রাট হিসেবে গ্রহণ করেন। তাই গিয়াসউদ্দিন বলবনকে দাসবংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে ধরা হয়।

Q19. প্রাচীন ভারতের “রাষ্ট্রকূট” বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
- (A) প্রথম কৃষ্ণ
- (B) দ্বিতীয় কৃষ্ণ
- (C) অমোঘ বর্ণ
- (D) দন্তী দূর্গ
সঠিক উত্তর (D) দন্তী দূর্গ
রাষ্ট্রকূট বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দন্তিদুর্গ। তিনি অষ্টম শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতে চালুক্য রাজবংশকে পরাজিত করে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তার শাসন কালে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল মান্যখেত বর্তমান কর্ণাটক।
দন্তিদুর্গ ছিলেন এক শক্তিশালী ও দক্ষ শাসক, যিনি দক্ষিণ ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার উত্তরসূরিরা সাম্রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করেন এবং শিল্প, সাহিত্য ও স্থাপত্যের উন্নয়ন ঘটান। রাষ্ট্রকূট যুগে ভারতীয় সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক কাঠামো নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। তাই দন্তিদুর্গকে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিত্তি নির্মাতা রাজা বলা হয়।
Q20. ভারতের “সর্বোচ্চ ক্রীড়া” সন্মান কি?
- (A) ধ্যান চাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার
- (B) রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার
- (C) দ্রোণাচার্য পুরস্কার
- (D) অর্জুন পুরস্কার
সঠিক উত্তর (A) ধ্যান চাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার
ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান হলো “মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার”। এটি দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্রীড়া পুরস্কার, যা প্রতি বছর অসাধারণ ক্রীড়া সাফল্যের জন্য প্রদান করা হয়। পুরস্কারটি প্রথম দেওয়া হয় ১৯৯১ সালে এবং এর প্রাথমিক নাম ছিল “রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার”।
পরে ২০২১ সালে এর নাম পরিবর্তন করে বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যানচাঁদ-এর নামে রাখা হয়। এই পুরস্কার প্রাপকেরা একটি পদক, সম্মাননাপত্র ও নগদ অর্থ পুরস্কার পান। ভারতের ক্রীড়া জগতে এটি সর্বোচ্চ জাতীয় স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য করা হয়।
✨ উপসংহার
কম্পিটিটিভ এক্সামে সফল হতে শুধু জ্ঞান নয়, অধ্যবসায়, ধৈর্য ও পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি GK MCQ আপনাকে শুধু তথ্য শিখায় না, বরং আপনার চিন্তার ক্ষমতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতাকেও উন্নত করে।
সফলতার পথে ছোট ছোট ধাপই বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। প্রতিদিন নিয়মিত প্রস্তুতি, সঠিক রিসোর্সের ব্যবহার এবং আত্মবিশ্বাস আপনাকে আপনার স্বপ্নের চাকরির কাছাকাছি নিয়ে যাবে।
আপনার পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসই আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি। মনে রাখবেন — “যে নিজেকে বিশ্বাস করে, সে যেকোনো প্রতিযোগিতায় জিততে পারে।”



