Latest mcq for wbp exam 2025

Introduction :
ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরি অর্জন করা কঠিন মনে হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সম্ভব। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—IAS, WBCS, SSC, Banking, WBP, KP বা Teaching Exams।
প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, মক টেস্ট, প্রিভিয়াস ইয়ার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে এগিয়ে রাখবে। ভু-গোল, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত আপডেটেড তথ্য মনে রাখুন। West Bengal Police gk mcq 2025 ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং নিজের উপর বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন—সফলতা আপনারই হবে।
Q1. DNA অণুর গঠন কে আবিষ্কার করেছিলেন?
- (A) ওয়াটসন ও ক্রিক
- (B) মেন্ডেল
- (C) ডারউইন
- (D) লামার্ক
সঠিক উত্তর – (A) ওয়াটসন ও ক্রিক
ডিএনএ অণুর গঠনের আবিষ্কার বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক প্রথমবার ডিএনএ-র দ্বিগুণ সর্পিল (Double Helix) গঠন প্রকাশ করেন। তাঁদের গবেষণায় রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের এক্স-রে বিকিরণ চিত্র বড় ভূমিকা রাখে।
এই গঠন থেকে বোঝা যায় কীভাবে জিনগত তথ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। আবিষ্কারের ফলে জীববিজ্ঞান, জেনেটিক্স ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। জীবনের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে ডিএনএ-র গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই অসাধারণ অবদানের জন্য ওয়াটসন ও ক্রিক ১৯৬২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
Q2. সূর্যের আলো পৃথিবীতে কোন পদ্ধতিতে পৌছায় ?
- (A) দহন প্রক্রিয়া
- (B) নিউক্লিয়ার ফিশন
- (C) নিউক্লিয়ার ফিউশন
- (D) বিকিরণ প্রক্রিয়া
সঠিক উত্তর -(C) নিউক্লিয়ার ফিউশন
সূর্যের আলো আসলে নিউক্লিয়ার ফিউশন পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে। সূর্যের কেন্দ্রস্থলে প্রচণ্ড তাপমাত্রা প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সেখানে হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো প্রচণ্ড চাপ ও তাপে একত্রিত হয়ে হিলিয়াম গঠন করে। এই মিলনের সময় বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়।
সেই শক্তিই আলো ও তাপ হিসেবে সূর্য থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বেরিয়ে আসে এবং পৃথিবীতে পৌঁছায়। সূর্যের এই শক্তিই আমাদের জীবনের প্রধান উৎস। উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ সবাই এই শক্তির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। তাই সূর্যের আলো ও তাপ ছাড়া পৃথিবীতে জীবন কল্পনাও করা যায় না।
Q3. ওজোন স্তর প্রধানত কোন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে অবস্থিত?
- (A) ট্রোপোস্ফেয়ার
- (B) স্ট্র্যাটোস্ফেয়ার
- (C) মেসোস্ফেয়ার
- (D) আয়নোস্ফেয়ার
সঠিক উত্তর – (B) স্ট্র্যাটোস্ফেয়ার
ওজোনস্তর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর জন্য প্রাকৃতিক সুরক্ষার ঢাল হিসেবে কাজ করে। সূর্যের অতিবেগুনী (UV) রশ্মি এই স্তরে পৌঁছালে অক্সিজেন অণু ভেঙে ওজোন তৈরি হয়।
তিনটি অক্সিজেন পরমাণু মিলে তৈরি হওয়া ওজোন ক্ষতিকর রশ্মি শোষণ করে আমাদের রক্ষা করে। এর ফলে মানুষের ত্বক, চোখ, প্রাণী এবং উদ্ভিদের ডিএনএ নিরাপদ থাকে। যদি এই স্তর না থাকত তবে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের রোগ এবং পরিবেশের বড় ক্ষতি ঘটত। তাই ওজোন স্তর পৃথিবীর জীবজগৎ ও পরিবেশ রক্ষায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
Q4. কোন ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়?
- (A) ভিটামিন A
- (B) ভিটামিন B
- (C) ভিটামিন C
- (D) ভিটামিন D
সঠিক উত্তর – (C) ভিটামিন C
স্কার্ভি একটি রোগ, যা ভিটামিন C -র অভাবে হয়। এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। ভিটামিন C না থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্লান্তি, হাত-পায়ে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, চুল পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করলে রক্তস্বল্পতা, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া এবং সংক্রমণ বাড়তে পারে।
ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা, জাম্বুরা ও ব্রকলি খেলে স্কার্ভি প্রতিরোধ হয়। নিয়মিত ভিটামিন C খেলে কয়েক দিনের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ কমে যায় এবং মানুষ আবার সুস্থ হয়ে ওঠে।

Q5. সালোকসংস্লেষ প্রক্রিয়ায় কোন গ্যাস নির্গত হয়?
- (A) অক্সিজেন
- (B) কার্বন ডাই-অক্সাইড
- (C) নাইট্রোজেন
- (D) হাইড্রোজেন
সঠিক উত্তর – (A) অক্সিজেন
সালোকসংস্লেষ হলো একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজে খাদ্য তৈরি করে। সূর্যের আলো, পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে উদ্ভিদ গ্লুকোজ তৈরি করে, যা তাদের শক্তির উৎস। পাতার ভেতরে থাকা ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল সূর্যের আলো শোষণ করে শক্তিকে কাজে লাগায়।
এ সময় পানি ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন তৈরি হয়। হাইড্রোজেন গ্লুকোজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, আর অক্সিজেন গ্যাস পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অক্সিজেন প্রাণী ও মানুষের শ্বাস নেওয়ার জন্য অপরিহার্য। তাই সালোকসংস্লেষ শুধু খাদ্যই দেয় না, বরং পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও সরবরাহ করে।
Q6. বাতাসের সবচেয়ে বড় উপাদান কোনটি?
- (A) নাইট্রোজেন
- (B) অক্সিজেন
- (C) কার্বন ডাইঅক্সাইড
- (D) আর্গন
সঠিক উত্তর – (A) নাইট্রোজেন
নাইট্রোজেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গ্যাস, যা মোট বাতাসের প্রায় ৭৮ শতাংশ। এটি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন একটি গ্যাস। নাইট্রোজেন বেশিরভাগ সময় স্থির থাকে, তাই বায়ুমণ্ডলকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। জীবজগতে নাইট্রোজেনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রোটিন ও ডিএনএ তৈরির জন্য অপরিহার্য উপাদান।
মাটিতে থাকা কিছু বিশেষ ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেনকে এমন রূপে পরিবর্তন করে যা উদ্ভিদ ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হয়। তাই নাইট্রোজেন শুধু বায়ুমণ্ডলেই নয়, জীবজগতের জন্যও এক অপরিহার্য গ্যাস হিসেবে কাজ করে।
Q7. মানুষ শরীরে প্রধান শক্তির উৎস কোনটি?
- (A) কার্বোহাইড্রেট
- (B) প্রোটিন
- (C) চর্বি
- (D) ভিটামিন
সঠিক উত্তর – (A) কার্বোহাইড্রেট
কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। এটি শর্করা, স্টার্চ ও ফাইবার আকারে থাকে এবং ফল, শস্য, শাকসবজি ও দুধজাত খাবার থেকে পাওয়া যায়। শরীরে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে কোষে পৌঁছে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক, মাংস পেশি ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে কার্বোহাইড্রেট অপরিহার্য। যদি শরীরে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট না পাওয়া যায়, তাহলে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও মনোযোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ ও সক্রিয় থাকার জন্য প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া খুবই জরুরি।

Q8. শব্দ শূন্য মাধ্যমে চলতে পারে না কেন ?
- (A) আলো প্রতিফলনের কারণে
- (B) মাধ্যমে অনুপস্থিতির কারণে
- (C) চাপ কম থাকার কারণে
- (D) তরঙ্গ শক্তির কারণে
সঠিক উত্তর – (B) মাধ্যমে অনুপস্থিতির কারণে
” শব্দ” হলো একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ যা চলাচলের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। এটি গ্যাস, তরল বা কঠিন কণার কম্পনের মাধ্যমে পরিবহন হয়। শূন্যস্থান বা ভ্যাকুয়ামে কণা থাকে না, তাই শব্দ সেখানে ছড়াতে পারে না।
মাধ্যমের ঘনত্ব যত বেশি, শব্দের গতি তত দ্রুত হয়। শব্দ তরঙ্গ কণার উপস্থিতি থাকা জায়গায় সহজে ছড়ায়, কিন্তু শূন্যস্থানে কোনো কণার অভাবে শব্দের শক্তি স্থানান্তর হয় না। তাই আমরা বলি, শূন্যস্থান হলো এমন স্থান যেখানে শব্দ গমন করতে পারে না। শব্দ পরিবহনের জন্য কোন মাধ্যম কণার উপস্থিতি প্রয়োজন হয়।
Q9. দুটি পরমাণুর মধ্যে রাসায়নিক বন্ধনের নাম কী?
- (A) অ্যাটমিক বন্ধন
- (B) আয়নিক বন্ধন
- (C) কোভালেন্ট বন্ধন
- (D) ভ্যান ডার ওয়ালস বন্ধন
সঠিক উত্তর – (C) কোভালেন্ট বন্ধন
কোভালেন্ট বন্ধন হলো একটি রাসায়নিক বন্ধন যেখানে দুটি বা ততোধিক পরমাণু তাদের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন ভাগ করে নেয়। ভাগ করা ইলেকট্রন জোড়াকে বন্ধন জোড়া বলা হয়। এর ফলে পরমাণুগুলো স্থিতিশীল হয় এবং সাধারণত অক্টেট নিয়ম পূরণ করে।
কোভালেন্ট বন্ধন শক্তিশালী এবং অনেক জৈব ও অজৈব যৌগে পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে জল (H₂O) ও হাইড্রোজেন গ্যাস (H₂) উল্লেখযোগ্য। কোভালেন্ট বন্ধন একক, দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ হতে পারে, যা ইলেকট্রনের ভাগাভাগির উপর নির্ভর করে। এটি যৌগের গঠন, রূপ এবং বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Q10. কোন গ্যাস সাধারণত বেলুন ভরার জন্য ব্যবহৃত হয়?
- (A) নাইট্রোজেন
- (B) হিলিয়াম
- (C) অক্সিজেন
- (D) কার্বন ডাই অক্সাইড
সঠিক উত্তর – (B) হিলিয়াম
হিলিয়াম হলো একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন, অবিষাক্ত এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাস। এটি মহৎ গ্যাসের প্রথম উপাদান এবং পারমাণবিক সংখ্যা ২। হিলিয়াম হাইড্রোজেনের পর সবচেয়ে হালকা গ্যাস, তাই এটি বেলুন ভরাতে ব্যবহৃত হয়। হিলিয়াম ভরা বেলুনের ওজন বাতাসের চেয়ে কম হয়, ফলে বেলুন সহজেই উপরে উঠে যায়।
হিলিয়াম দাহ্য নয়, তাই এটি ব্যবহার করা নিরাপদ। হাইড্রোজেনের মতো এটি জ্বলতে পারে না। এই কারণে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেলুন, হেলিয়াম ব্যালুন শো এবং অন্যান্য উদযাপনে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এটি বিজ্ঞান ও বিনোদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Conclusion :
ভারতের সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস সঠিক ও আপডেটেড তথ্য জানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা IAS, WBCS, WBP, KP, SSC, Banking এবং অন্যান্য পরীক্ষায় সহায়ক হবে। নিয়মিত এখানে ভিজিট করে আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এবং পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসী হোন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরও সরাসরি, গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষাভিত্তিক তথ্য পাবেন যা আপনাকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।
Really sir outstanding
Pingback: Indian Geography mcq for wbp exam 2025