
Introduction :
ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরি অর্জন করা কঠিন মনে হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সম্ভব। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—IAS, WBCS, SSC, Banking, WBP, KP বা Teaching Exams। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, মক টেস্ট, প্রিভিয়াস ইয়ার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে এগিয়ে রাখবে। ভু-গোল, ইতিহাস, wbp and kp exam mcq question 2025 অর্থনীতি ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত আপডেটেড তথ্য মনে রাখুন। ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং নিজের উপর বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন—সফলতা আপনারই হবে।
Q1. ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার কতটি?
- (A) ৬
- (B) ৭
- (C) ৮
- (D) ১০
সঠিক উত্তর (A) ৬
ভারতীয় সংবিধানে মোট ৬টি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারগুলি হলো সমতার অধিকার, বাক স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার।
এই অধিকারগুলি ভারতের নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সমতা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়। সংবিধান এই অধিকারসমূহের মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে নিরাপদ ও সম্মানজনক করে তোলার দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া, আইনত এই অধিকারগুলোর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নাগরিকরা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। এই মৌলিক অধিকারগুলি ভারতের সাংবিধানিক রচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Q2. ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন কে?
- (A) লর্ড কর্নওয়ালিস
- (B) ওয়ারেন হেস্টিংস
- (C) লর্ড মাউনটব্যাটেন
- (D) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
সঠিক উত্তর (D) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
বাংলার প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তিনি ১৭৭৩ সালে বাংলায় প্রথম গভর্নর-জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। ওয়ারেন হেস্টিংস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে কর্মরত এক আধিকারিক ছিলেন এবং তিনি ভারতের শাসনব্যবস্থায় অনেক প্রশাসনিক সংস্কার করেছিলেন।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কক ১৮৩৩ সালের চার্টার আইনের পর এ পদে নিযুক্ত হন। তবে স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় গভর্নর-জেনারেল ছিলেন চক্রবর্তী রাজা গোপাল আচারি ।
Q3. পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোনটি?
- (A) আসানসোল
- (B) কলকাতা
- (C) দার্জিলিং
- (D) বাঁকুড়া
সঠিক উত্তর (B) কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা এবং ভারতের সংস্কৃতির রাজধানী এক ঐতিহাসিক শহর, – যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইংরেজ ব্যবসায়ী জব চর্নক (Job Charnock)-। ১৬৯০ সালে তিনি হুগলি নদীর তীরে তিনটি গ্রাম—সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও কলিকাতা—এর সমন্বয়ে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করেন। ধীরে ধীরে এই স্থানটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে পরিণত হয়।
১৬৯৮ সালে জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর কাছ থেকে এই গ্রামগুলির ভূমির অধিকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্রয় করে। এরপর ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের মাধ্যমে কলকাতার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। যদিও আধুনিক গবেষকরা কলকাতার প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব শুধু জব চর্নকের নয় বলে মনে করেন, তবুও সাধারণভাবে তাকে কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।

Q4. ভারতের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কি?
- (A) শিল্প
- (B) কৃষি
- (C) পরিবহণ
- (D) বাণিজ্য
সঠিক উত্তর (B) কৃষি
ভারতের অর্থনীতির মূল ভিত্তি দীর্ঘদিন ধরে কৃষি হলেও আধুনিক কালে আরও অনেক উৎস এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কৃষি প্রায় ৪০% মানুষকে জীবিকা দেয় এবং খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি গড়ে তোলে। কৃষি ছাড়াও ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলছে শিল্প, যেখানে টেক্সটাইল, ইস্পাত, সিমেন্ট, ওষুধ, অটোমোবাইল ইত্যাদি বড় ভূমিকা রাখে।
পাশাপাশি পরিসেবা খাতে আজ ভারতের জিডিপির সবচেয়ে বড় অংশীদার, যার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি (IT), টেলিকম, ব্যাংকিং, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা অন্যতম। বাণিজ্য ও রপ্তানি, বিশেষত সফটওয়্যার, হীরা, ওষুধ এবং কৃষিজ পণ্যও অর্থনীতিকে গতিশীল করছে। এছাড়া খনিজ সম্পদ যেমন কয়লা, লৌহ আকরিক, বক্সাইট, প্রাকৃতিক গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
Q5. ভারতের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা উল্লেখিত ধারা কোনটি?
- (A) 53 ধারা
- (B) 63 ধারা
- (C) 75 ধারা
- (D) 86 ধারা
সঠিক উত্তর (A) 53 ধারা
ভারতীয় সংবিধানের ধারা 53 অনুযায়ী ভারতের সমস্ত নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নিকট ন্যস্ত থাকে। তিনি এই ক্ষমতা সরাসরি বা তাঁর দ্বারা নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। তবে বাস্তবে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন না; তাঁকে মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হয় (ধারা 74 অনুসারে)।
ধারা 53 রাষ্ট্রপতিকে ভারতের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তিনি নামমাত্র প্রধান (Nominal Executive) আর কার্যত ক্ষমতা প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ। অর্থাৎ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী সীমাবদ্ধ হলেও তিনি জাতির ঐক্য, মর্যাদা ও ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
Q6. কোন নদী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত রেখা সৃষ্টি করেছে?
- (A) যমুনা
- (B) গঙ্গা
- (C) পদ্মা
- (D) রায়মঙ্গল
সঠিক উত্তর (D) রায়মঙ্গল
রায়মঙ্গল নদী বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হিসেবে কাজ করে। এই নদী সুন্দরবনের কাছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত হয়।
রায়মঙ্গল নদীর জলধারা বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সীমানা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত রায়মঙ্গল নদীর উপর অবস্থিত বলাই যায়।
Q7. ভারতের পার্লামেন্ট মোট কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত?
- (A) ৫৪৫
- (B) ৭৮৮
- (C) ৭৫৪
- (D) ৬০০
সঠিক উত্তর (B) ৭৮৮
ভারতের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট (Bicameral) অর্থাৎ দুটি সভা নিয়ে গঠিত— লোকসভা ও রাজ্যসভা। লোকসভাকে বলা হয় জনসভা বা জনপ্রিয় সভা যেখানে সর্বোচ্চ ৫৫২ জন সদস্য থাকতে পারেন। এর মধ্যে ৫৩০ জন ভারতের রাজ্যগুলি থেকে, ২০ জন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত ২ জন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান (তবে ১০৪তম সংশোধনী, ২০২০-এ এই মনোনয়ন প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে)।
বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। অন্যদিকে রাজ্যসভা হলো রাষ্ট্রের সভা, যেখানে সর্বোচ্চ ২৫০ জন সদস্য থাকতে পারেন— এর মধ্যে ২৩৮ জন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত এবং ১২ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত। বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৪৫। সুতরাং, ভারতের সংসদ গঠিত হয় মোট ৭৮৮ জন সদস্য নিয়ে । (লোকসভা ৫৪৩ + রাজ্যসভা ২৪৫)।

Q8. পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
- (A) সান্দাকফু
- (B) কাঞ্চনজঙ্ঘা
- (C) দূরবীন দ্বারা
- (D) সিঙ্গালীলা
সঠিক উত্তর (A) সান্দাকফু
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো সান্দাকফু। এটি দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩,৬৩৬ মিটার (১১,৯৩০ ফুট)। সন্দাকফু পশ্চিমবঙ্গ ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত এবং সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত।
এই শৃঙ্গ থেকে বিশ্বের চারটি সর্বোচ্চ পর্বত—এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে ও মাকালু— স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এজন্য একে বলা হয় “Trekkers’ Wonderland”। এটি পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত ট্রেকিং রুট, বিশেষত মানেভঞ্জন থেকে শুরু হওয়া সন্দাকফু-ফালুট ট্রেক সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অরণ্য, ও রডোডেন্ড্রন ফুলের জন্য এই শৃঙ্গ বিশেষ আকর্ষণীয়।
Q9. “ভারতের মুদ্রানীতি” নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন সংস্থা কাজ করে?
- (A) SEBI
- (B) RBI
- (C) IRDAI
- (D) FCI
সঠিক উত্তর (B) RBI
RBI তার মুদ্রানীতি (Monetary Policy)–র মাধ্যমে বাজারে টাকা প্রবাহ, সুদের হার, নগদ সংরক্ষণ (CRR, SLR) ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি কমানো বা স্থিতিশীল রাখে। এছাড়া সরকারের আর্থিক নীতি (Fiscal Policy)—যেমন কর ব্যবস্থা, ভর্তুকি, আমদানি–রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ—দ্বারাও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে প্রধান দায়িত্ব RBI-এর, কারণ এটি দেশের মুদ্রানীতি নির্ধারণ ও কার্যকর করে।
ভারতের ইনফ্লেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানভাবে কাজ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। RBI দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে মুদ্রানীতি গ্রহণ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। ২০১৫ সালে RBI আইনে পরিবর্তন আনা হয়, যা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে মুদ্রানীতির প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে।
Q10. “কালিঙ্গ যুদ্ধ” কার শাসন কালে সংঘটিত হয়েছিল?
- (A) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
- (B) অশোক
- (C) সমুদ্রগুপ্ত
- (D) চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয়
সঠিক উত্তর (B) অশোক
খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সালে মৌর্য সম্রাট অশোকের শাসনকালে ভয়াবহ কালিঙ্গ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কালিঙ্গ ছিল স্বাধীন ও সমৃদ্ধ রাজ্য। অশোক সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন। যুদ্ধ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ নিহত এবং দেড় লক্ষ মানুষ বন্দি হয়। রক্তপাত ও ধ্বংস দেখে অশোক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এই অনুতাপ থেকেই তিনি অহিংসা ও বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী জীবনে নিজেকে “ধর্মাশোক” রূপে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য দূত পাঠান শ্রীলঙ্কা, মিশর, গ্রিস প্রভৃতি দেশে। তাঁর শিলালিপি ও স্তম্ভলিপি আজও ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ তাঁর উত্তরাধিকার বহন করছে।
Q11. বাংলার নবজাগরণের ‘যুগপুরুষ’ নামে কাকে বলা হয়?
- (A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- (B) রাজা রামমোহন রায়
- (C) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- (D) দীনবন্ধু মিত্র
সঠিক উত্তর (B) রাজা রামমোহন রায়
বাংলার নবজাগরণের ‘যুগপুরুষ’ নামে পরিচিত রাজা রামমোহন রায়। তিনি ছিলেন আধুনিক যুগের প্রথিকৃৎ ও বাংলার নবজাগরণ আন্দোলনের জনক। ভারতের ইতিহাসে তিনি ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
রামমোহন রায় সমাজ সংস্কারকের কাজ করে ধর্মীয় কুসংস্কার এবং কিঞ্চিৎ প্রাচীন আচার-অনুষ্ঠানকে বদলাতে চেষ্টা করেন। তিনি বাঙালি সমাজে আধুনিক শিক্ষার প্রচার ও সমতার ভাবনা বিকাশে কাজ করেন। ধর্ম, সমাজ ও শিক্ষায় তাঁর অবদানের কারণে তাকে “বাংলার নবজাগরণের যুগপুরুষ” নামে সম্মানিত করা হয়। তিনি ভারতের “মার্টিন লুথার” নামে পরিচিত।
Q12. “মৌলিক কর্তব্যটি ” কোন ধারায় যুক্ত?
- (A) ধারা 32
- (B) ধারা 51(A)
- (C) ধারা 368
- (D) ধারা 19
সঠিক উত্তর (B) ধারা 51(A)
ভারতের সংবিধানের মৌলিক কর্তব্য বা Fundamental Duties ধারা ৫১(এ) তে যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারাটি ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংশোধনী আইন দ্বারা সংবিধানে সংযোজন করা হয়। পরে ২০০২ সালে ৮৬তম সংশোধনী আইন দ্বারা ১১তম কর্তব্যও যোগ করা হয়।
মৌলিক কর্তব্যসমূহ ভারতের নাগরিকদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বের প্রতীক, যেমন সংবিধান ও জাতীয় প্রতীককে সম্মান করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, পরিবেশ সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিক মনোভাব গড়ে তোলা, সহিষ্ণুতা প্রচার করা ইত্যাদি। এগুলো নাগরিকত্বের অংশ হিসেবে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের পালনীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত।
Q13. ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ কোন ধারায় উল্লেখ আছে?
- (A) ধারা 124
- (B) ধারা 148
- (C) ধারা 280
- (D) ধারা 352
সঠিক উত্তর (A) ধারা 124
ভারতীয় সংবিধানের ধারা 124 সুপ্রিম কোর্টের গঠন ও বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, ভারতের একটি সুপ্রিম কোর্ট থাকবে, যার প্রধান হবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) এবং রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং তারা সাধারণত ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। কোনো বিচারপতিকে অপসারণ করা যায় শুধুমাত্র সংসদের অভিশংসন প্রক্রিয়া (Impeachment)-র মাধ্যমে। ধারা 124 এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টকে সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে, যা ভারতের বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।

Q14. ভারতের বর্তমান মুদ্রানীতি প্রধানত কার দ্বারা পরিচালিত হয়?
- (A) অর্থ মন্ত্রণালয়
- (B) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক
- (C) সেকুরিটি ও এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)
- (D) হিসাব ও নিরীক্ষা মহাপরিদপ্তর (CAG)
সঠিক উত্তর (B) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) প্রতিষ্ঠিত হয় ১ এপ্রিল ১৯৩৫ সালে। এটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কাজ করে এবং মূল দায়িত্ব হলো মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
RBI বাজারে টাকার যোগান ও সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে এবং নগদ সংরক্ষণ হার (CRR), লিকুইডিটি, ঋণ নীতি ও ব্যাংকিং নিয়মাবলী নির্ধারণ করে। সরকারের সহযোগিতায় RBI দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। অর্থাৎ, RBI হলো ভারতের মুদ্রানীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতার কেন্দ্র, যা দেশের অর্থনীতিকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে।
Q15. GDP (Gross Domestic Product) দ্বারা কি বোঝানো হয়?
- (A) দেশের বাইরে তৈরি মোট পণ্য
- (B) দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন
- (C) দেশের মুদ্রার মান
- (D) দেশের কর আদায়
সঠিক উত্তর (B) দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন
GDP (Gross Domestic Product) বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হলো একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত সমস্ত চূড়ান্ত পণ্য ও সেবার অর্থমূল্য। এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের একটি প্রধান সূচক এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও বিকাশের মাত্রা পরিমাপ করে।
GDP দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে প্রকাশ করে, যা কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত-এর অবদান অন্তর্ভুক্ত করে। এটি দেশের মোট আয়, ব্যয় এবং বিনিয়োগের সমন্বয় হিসাবেও ধরা হয়। অর্থাৎ, GDP হলো দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি নির্ণয়ের প্রধান মানদণ্ড, যা নীতি নির্ধারণ এবং আর্থিক পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Q16. ১৯১৯ সালের ‘জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড’ কোথায় সংঘটিত হয়েছিল?
- (A) করাচি
- (B) অমৃতসর
- (C) দিল্লি
- (D) কলকাতা
সঠিক উত্তর (B) অমৃতসর
সঠিক উত্তর (B) অমৃতসর
১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৩ এপ্রিল, আমৃতসর, পাঞ্জাব। ব্রিটিশ সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নির্বিচারভাবে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। নিহত ও আহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, মহিলারা ও শিশুরাও ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল ১৯১৯ সালের রাওলাট আইন এবং সৈফুদ্দিন কিচলু ও সত্যপাল মালিকের বিনা বিচারে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। ডায়ারের এই নৃশংসতা ব্রিটিশ শাসনের নির্দয়তা প্রকাশ করেছিল এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবল প্রেরণা জুগিয়েছিল। জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড ভারতের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত এবং জাতীয় মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল।
Q17. ১৯৪২ সালের ‘কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলন’ কে আহ্বান করেছিলেন?
- (A) সুভাষচন্দ্র বসু
- (B) মহাত্মা গান্ধী
- (C) আবুল কালাম আজাদ
- (D) বি. আর. আম্বেদকর
সঠিক উত্তর (B) মহাত্মা গান্ধী
১৯৪২ সালের ‘কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলন’ আহ্বান করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি ৮ই আগস্ট ১৯৪২ সালে বোম্বে (মুম্বাই)য়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে এই আন্দোলনের ঘোষণা দেন এবং ব্রিটিশদের অবিলম্বে ভারত ছাড়ার দাবি জানান।
গান্ধীর “ডু অর ডাই” (করব বা মরব) স্লোগান এই আন্দোলনের মূল মন্ত্র ছিল। যা ভারতবাসীকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে একত্রিত করেছিল। এই আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ গণআন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিল।
Q18. “সেট্টিং অব হোম রুল” আন্দোলন কোন নেতা শুরু করেছিলেন?
- (A) মহাত্মা গান্ধী
- (B) বল্লভভাই প্যাটেল
- (C) বাল গঙ্গাধর তিলক
- (D) সুভাষচন্দ্র বসু
সঠিক উত্তর (C) বাল গঙ্গাধর তিলক
“সেট্টিং অব হোম রুল” আন্দোলন ১৯১৬ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক এবং অ্যানি বেসান্টের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল। তিলক এপ্রিলে বেলগামে ইন্ডিয়ান হোম রুল লীগ প্রতিষ্ঠা করেন, আর অ্যানি বেসান্ট সেপ্টেম্বরে মাদ্রাজে হোম রুল লীগ গঠন করেন।
এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতীয়দের জন্য স্ব-শাসন বা হোম রুল প্রতিষ্ঠা করা। তিলক মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বারার এবং কেন্দ্রীয় প্রদেশসহ দিল্লিতে লিগের সদর দপ্তর স্থাপন করেন, আর বেসান্ট লিগ দেশের অন্যান্য অংশে কাজ করেছিল। এই দুটির উদ্দেশ্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সমর্থন জানানো ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ করা ছিল।

Q19. ভারতের হিমালয়ের সর্বোচ্চ শিখর কোনটি?
- (A) কাঞ্চনজঙ্ঘা
- (B) নন্দাদেবী
- (C) হিমালয়
- (D) ধৌলাগিরি
সঠিক উত্তর (A) কাঞ্চনজঙ্ঘা
ভারতের হিমালয়ের সর্বোচ্চ শিখর হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা। এটি ৮,৫৮৬ মিটার (২৮,১৬৯ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এবং সিকিম রাজ্যে নেপাল ও ভারতের সীমান্তে অবস্থান করে। কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ শিখর এবং এটি ভারতের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
এর চারিদিকে বহু হিমবাহ এবং পাঁচটি পৃথক শিখর রয়েছে। এই শিখর থেকে শনাক্ত করা যায় এভারেস্ট, লোটসে, মাকালু সহ আরও অনেক উচ্চশিখর। কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্বত আরোহীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
Q20. ভারতের কোন রাজ্যকে ‘ভারতের লাইট হাউস রাজ্য’ বলা হয়?
- (A) পশ্চিমবঙ্গ
- (B) তামিলনাডু
- (C) ওড়িশা
- (D) কেরালা
সঠিক উত্তর (C) ওড়িশা
ভারতের ‘লাইট হাউস রাজ্য’ হিসেবে ওড়িশা রাজ্যকে বলা হয়। ওড়িশার উপকূলে বহু গুরুত্বপূর্ণ বাতিঘর আছে, যেমন পুরী লাইট হাউস, যা পর্যটক এবং নৌপরিবহনের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় বাতিঘরগুলো ভারতের শিপিং নিরাপত্তা ও নেভিগেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, যার ফলে এই রাজ্যকে ‘লাইট হাউস রাজ্য’ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া পুরীর লাইট হাউস সুপরিচিত এবং ঐতিহাসিক মানেও সমৃদ্ধ।
Conclusion:
ভারতের ভূগোল, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ হ্রদসমূহ সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য জানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা IAS, WBCS, WBP, KP, SSC, Banking এবং অন্যান্য পরীক্ষায় সহায়ক হবে। নিয়মিত এখানে ভিজিট করে আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এবং পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসী হোন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরও সরাসরি, গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষাভিত্তিক তথ্য পাবেন যা আপনাকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।