Super mcq question for wbp exam 2025

Indian polity mcq in bengali 2025

Super mcq question for wbp exam 2025

Introduction :

Welcome to studyshared.com ভারতের এবং পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরির সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ আবেদনকারী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ করে WBCS, WBP, KP, UPSC, SSC, Bank PO, Railway, TET ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় Super mcq question for wbp exam 2025 সফলতা পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য সর্বশেষ সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি কৌশল, মডেল প্রশ্নপত্র, এসএসসি, পুলিশ, প্রশাসনিক অফিসারসহ বিভিন্ন চাকরির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিতভাবে শেয়ার করবো। এখানে পাবেন পরীক্ষা সম্পর্কিত নতুন আপডেট এবং দরকারি নির্দেশিকা।

Q1. ভারতের সংবিধানের জনক কে?

  • (A) মহাত্মা গান্ধী
  • (B) জওহরলাল নেহরু
  • (C) ডঃ বি. আর. আম্বেদকর
  • (D) সুভাষ চন্দ্র বসু

সঠিক উত্তর: (C) ডঃ ভি. আর. আম্বেদকর (Dr. B. R. Ambedkar) ভারতের সংবিধানের জনক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, সমাজ সংস্কারক, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক নেতা। সমাজে বর্ণবাদ ও অসাম্য দূরীকরণের জন্য অকুতোভয় সংগ্রাম করেছেন।

           ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান গঠনের দায়িত্ব পান এবং তিনি সংবিধান রচনার প্রধান আর্কিটেক্ট হিসেবে কাজ করেন। ডঃ আম্বেদকর তার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে একটি সমতা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে গঠিত সংবিধান রচনা করেন। তিনি ভারতের সামগ্রিক সামাজিক পরিবর্তনের জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন।

Q2. কবে ভারতের সংবিধান গ্রহণ করা হয়?

  • (A) ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০
  • (B) ১৫ আগস্ট ১৯৪৭
  • (C) ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯
  • (D) ১ জানুয়ারি ১৯৫০

সঠিক উত্তর -(C) ভারতের সংবিধান ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে গৃহীত হয়। এটি ভারতের ইতিহাসের একটি মাইলফলক মুহূর্ত। স্বাধীনতা লাভের পর, একটি সংবিধান গঠনের জন্য সংবিধান সভা গঠন করা হয়। ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এই সংবিধান রচনার প্রধান আর্কিটেক্ট ছিলেন।

         সংবিধানটি গৃহীত হওয়ার পর ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, দায়িত্ব ও শাসন ব্যবস্থার সূক্ষ্ম কাঠামো নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ তারিখে সংবিধান কার্যকর হয় এবং ভারত একটি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতি বছর এই দিনটি “সংবিধান দিবস” হিসেবে পালন করা হয়।

Q3. কত তম সংবিধান সংশোধন “মিনি সংবিধান” নামে পরিচিত?

  • (A) ৩৬তম সংশোধন
  • (B) ৪২তম সংশোধন
  • (C) ৭৪তম সংশোধন
  • (D) ৯৯তম সংশোধন

সঠিক উত্তর -(B) ভারতের ৪২তম সংবিধান সংশোধন (1976) কে বিশেষভাবে “মিনি সংবিধান” (Mini Constitution) বলা হয়। এই সংশোধন ভারতের সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। প্রায় ১০০ ধারা সংশোধন বা সংযোজন করা হয়, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

    এটি মূলত জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করার সময় ব্যবহৃত হয়। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলে এই সংশোধন। ৪২তম সংশোধনের মাধ্যমে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক পরিবর্তিত হয়। ফলে এটি ভারতের গণতন্ত্র ও শাসনতন্ত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

Super mcq question for wbp exam 2025
Q4. ভারতের সংবিধানের কোন আর্টিকেল “সংবিধানের হৃদয় ও আত্মা” নামে পরিচিত?
  • (A) আর্টিকেল ১৪
  • (B) আর্টিকেল ২১
  • (C) আর্টিকেল ৩২ 
  • (D) আর্টিকেল ৩৭

সঠিক উত্তর – (C)  ভারতের সংবিধানের ৩২ নম্বর আর্টিকেল বিশেষভাবে “সংবিধানের হৃদয় ও আত্মা” নামে পরিচিত। এই আর্টিকেল নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্টিকেল ৩২-এ নির্দিষ্ট করা আছে যে, যদি কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তবে সে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করতে পারবেন।

   এটি নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধানিক নিরাপত্তা গ্যারান্টি হিসেবে বিবেচিত। ভারতীয় সংবিধান প্রণেতারা এটিকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়ব্যবস্থার মূল ভিত্তি।

Q5. সংবিধানের কোন আর্টিকেল মৌলিক কর্তব্যের কথা বলেছেন?
  • (A) আর্টিকেল ৩৫a
  • (B) আর্টিকেল ৫১a
  • (C) আর্টিকেল ৫১b  
  • (D) আর্টিকেল ৩৭c

সঠিক উত্তর – (B) ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ৫১-এ (Article 51A) নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য নির্ধারণ করে। এটি আমাদের দেশপ্রেম, সংবিধানকে সম্মান করা, জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা, পরিবেশ সুরক্ষার মতো দায়িত্ব শেখায়। এছাড়া, ১১তম মৌলিক কর্তব্য হিসেবে সংবিধানে যোগ করা হয়েছে

 “৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।”

এই নতুন কর্তব্যটি ২০০২ সালে ৮৬তম সংশোধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়। এর উদ্দেশ্য প্রতিটি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়ার অধিকার দেওয়া। এতে শিশুর সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হয় এবং দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। এই কর্তব্য আমাদের দায়িত্ব ও দেশের উন্নয়নের পথ সুগম করে।

Q6. ভারতীয় পার্লামেন্টের লোক সভার প্রথম স্পীকার কে ছিলেন?

  • (A) পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু
  • (B) ডঃ বি. আর. আম্বেদকর
  • (C) গণেশ বাসুদেব মাভলঙ্কার 
  • (D) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল

সঠিক উত্তর – (C) ভারতের পার্লামেন্টের লোকসভা (Lok Sabha)-এর প্রথম স্পীকার ছিলেন গণেশ বাসুদেব মাভলঙ্কার (Ganesh Vasudev Mavalankar)। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত প্রথম লোকসভা ১৯৫২ সালে কার্যকর হয়। গণেশ বাসুদেব মাভলঙ্কার  এই সময় ভারতের প্রথম স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

        তিনি পার্লামেন্টের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দৃঢ় করেন। স্পীকার হিসেবে তার অবদান ভারতীয় সংসদের ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গণেশ বাসুদেব মাভলঙ্কার ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সমাজসেবক, যিনি স্বাধীন ভারতের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

Super mcq question for wbp exam 2025

Q7. ভারতের “সংবিধানের রক্ষাকর্তা” কে ছিলেন?

  • (A) প্রেসিডেন্ট
  • (B) সুপ্রীম কোর্ট
  • (C) প্রধানমন্ত্রী
  • (D) ভাইস প্রেসিডেন্ট

সঠিক উত্তর – (B) ভারতের সংবিধানের ‘প্রকৃত রক্ষাকর্তা’ (Custodian of the Constitution) হলো সুপ্রীম কোর্ট (Supreme Court)। সংবিধান প্রণয়নের সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক ন্যায় রক্ষার জন্য সুপ্রীম কোর্টকে সংবিধানের সংরক্ষক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

               সুপ্রীম কোর্ট নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সমস্ত কার্যক্রম সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যদি কোনো আইন বা সরকারী সিদ্ধান্ত সংবিধান লঙ্ঘন করে, সুপ্রীম কোর্ট তা বাতিল বা সংশোধনের নির্দেশ দিতে পারে। এটি ভারতের গণতান্ত্রিক শাসন ও আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের সংরক্ষণ ও নাগরিকদের অধিকার রক্ষার প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে।

Q8. ভারতের সবথেকে পুরোনো হাইকোর্ট কোনটি?
  • (A) মুম্বাই হাইকোর্ট
  • (B) কলকাতা হাইকোর্ট
  • (C) চেন্নাই হাইকোর্ট
  • (D) দিল্লি হাইকোর্ট

  সঠিক উত্তর -(B) ভারতের কলকাতা হাইকোর্ট দেশের সবচেয়ে পুরোনো হাইকোর্ট। এটি ১৮৬২ সালে স্থাপিত হয় এবং প্রধান বিচার পতি ছিলেন স্যার বার্নেস পীকক। ব্রিটিশ শাসনের সময় বিচারব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট ভারতের প্রথম হাইকোর্ট হিসেবে বিচার কার্যক্রম শুরু করে এবং তখনকার ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

        বর্তমানে, এটি পশ্চিমবঙ্গ ও অণ্ডমান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিচার কার্যক্রম দেখভাল করে। কলকাতা হাইকোর্টের স্থাপত্যশৈলী এবং আইনি ইতিহাস দেশের আইনি ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতের বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং নতুন আইন ও ন্যায়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করছে।

Q9. ভারতের পঞ্চায়েত রাজ কবে শুরু হয়?
  • (A) ১৯৫০ সালে
  • (B) ১৯৫৯ সালে
  • (C) ১৯৭৫ সালে
  • (D) ১৯৯২ সালে

 সঠিক উত্তর – (B) ভারতে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৯ সালে রাজস্থানে শুরু হয়। এটি গ্রামীণ স্তরে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য গঠিত হয়। পঞ্চায়েত রাজের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ নিজের এলাকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি অংশ নিতে পারে।

          ভারতের পঞ্চায়েত  ব্যবস্থা তিন স্তরে কাজ করে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি, এবং জেলা পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত রাজ গ্রামীণ জনগণের ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

Q10. ভারতের সংবিধানের কোন আর্টিকেলের মাধ্যমে জাতীয় জরুরী ঘোষণা কর হয়?

  • (A) আর্টিকেল ৩৫
  • (B) আর্টিকেল ৩৯
  • (C) আর্টিকেল ৩৫২
  • (D) আর্টিকেল ৩৭

সঠিক উত্তর -(C) ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫২ (Article 352)-এর মাধ্যমে জাতীয় জরুরি অবস্থা (National Emergency) ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন যদি দেশ বা এর কোনো অংশে যুদ্ধ, বিদেশী আগ্রাসন বা অভ্যন্তরীণ অশান্তি ঘটে, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়।

              জরুরি অবস্থার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। এই সময় কিছু মৌলিক অধিকার সাময়িকভাবে সীমিত হতে পারে। আর্টিকেল ৩৫২ ভারতের সংবিধানে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত।

Conclusion :

সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত পরিশ্রমই সরকারি চাকরিতে সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি। আমাদের এই পোস্টে দেওয়া সকল তথ্য আপনাদের প্রস্তুতিকে আরও সহজ ও কার্যকরী করবে। ভারতের এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা যেমন WBCS, WBP, KP, UPSC, SSC ইত্যাদির সর্বশেষ আপডেট, প্রস্তুতি কৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ MCQ নিয়মিতভাবে শেয়ার করা হবে। নিয়মিত সাথে রাখুন www.studyshared.com ওয়েবসাইটকে ।

আপনার স্বপ্নের সরকারি চাকরি অর্জন সম্ভব, যদি আপনি দৃঢ় সংকল্প ও পরিশ্রমের পথ অবলম্বন করেন। প্রতিদিন একধাপ এগিয়ে চলুন, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। মনে রাখুন, যাত্রা যত কঠিন হোক না কেন, লক্ষ্য স্থির থাকলে সাফল্য আপনার হাতেই আসবে। আপনার প্রতিভা ও পরিশ্রমে রাষ্ট্র আপনাকে স্বীকৃতি দেবেই ধন্যবাদ সবাইকে।

Spread the love

2 thoughts on “Super mcq question for wbp exam 2025”

  1. Pingback: Kolkata Police exam mcq question 2025

  2. Pingback: English mcq for wbp & kp exam 2025

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top