kolkata police exam gk questions 2025

Introduction :
হ্যালো বন্ধুরা, আমার studyshare.com ওয়েবসাইটে স্বাগত । আজকে কলকাতা পুলিশ পরীক্ষার উপযোগী কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে এসেছি। এই প্রশ্ন গুলি শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, ভারতের যে কোন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পরীক্ষায় এই প্রশ্ন গুলি আসবেই।
এই প্রশ্ন গুলি বিগত দিনের বিভিন্ন পরীক্ষায় এসেছিল এবং আবার আসবে। সরকারী চাকরি পরীক্ষায় ভারতের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Latest question for Kolkata police exam 2025 ভারতের ইতিহাস ভালোভাবে খুটিয়ে পড়লে ভারতের যে কোন পরীক্ষা পাস করা যায়। নিচে প্রশ্ন গুলি দেওয়া হলো।
Q1. ‘পানিপথের প্রথম যুদ্ধ’ কত সালে ঘটে ছিল ?
- (A) ১৫২৬ সালের ২২শে জুলাই
- (B) ১৫২৬ সালের ২১শে এপ্রিল
- (C) ১৫২৬ সালের 15ই মে
- (D) ১৫২৬ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর
সঠিক উত্তর হল -(B) পাণিপথের প্রথম যুদ্ধ ২১ এপ্রিল ১৫২৬ সালে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর এবং দিল্লি সুলতানতের শাসক ইব্রাহিম লোদি মুখোমুখি হন। যুদ্ধটি পাণিপথের প্রান্তরে অনুষ্ঠিত হয়। বাবর প্রায় ১০ হাজারসৈন্য সহ ভারত আক্রমন করেন, তৎকালীন অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক কৌশলের মাধ্যমে ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করেন।
এই যুদ্ধে গুলি বন্দুকের ব্যবহার নতুন যুগের সূচনা করে। বাবরের কৌশল ও সুদক্ষ পরিকল্পনা যুদ্ধ জয়ের প্রধান কারণ। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। পাণিপথের প্রথম যুদ্ধ ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা মধ্যযুগীয় ভারতীয় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন আনে। এটি ভারতের সামরিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
Q2. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে ঘটে?
(A) ১৫৫৫ সালে (B) ১৫৫৬ সালে
(C) ১৫৬১ সালে (D) ১৫৬৩ সালে
সঠিক উত্তর হল – (B) পাণিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৫৫৬ সালের ৫ই নভেম্বর সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের পক্ষে সমরপরিচালক বীরবল এবং আদিল শাহ সিফি বাহিনীর প্রধান হিমু মুখোমুখি হয়। আদিল শাহের সামরিক শক্তি ও সংযুক্ত রাজপুত জোট মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
যুদ্ধে আকবরের প্রধান সহায়ক বীরবল এবং অন্যান্য মোগল সেনাপতি সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। এই যুদ্ধে আকবর বিজয়ী হন, যা মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি আরও বৃদ্ধি করে। পাণিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই যুদ্ধের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্য দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

Q3. পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ কত সালে ঘটে?
- (A) ১৭৬০ (B) 1761
- (C) 1762 (D) 1763
সঠিক উত্তর হল – পাণিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ১৭৬১ সালের ১৪ই জানুয়ারি ভারতের উত্তর প্রান্তে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধেএক দিকে আফগানিস্তানের আমির আহমদ শাহ আবদালি ও তার সহযোগী অযোধ্যার নবাব সুজাউদৌল্লা এবং রোহিল সর্দার নজির খান সম্মিলিত ভাবে মারাঠা আক্রমণ করেন।
অপর দিকে মারাঠা পেশোয়ার সদাশিব রাও ও বিশ্বাস রাও সহ ২২ জন সেনাপতি ও প্রায় ২০ হাজার মারাঠা সৈন্য পরাজিত ও নিহত হন। ফলে মারাঠা শক্তির পতন ঘটে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এটি ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ।
Q4. বিখ্যাত ‘খানুয়ার যুদ্ধ’ কত সালে সংঘঠিত হয়?
(A) ১৫২৫ (B) 1528
(C) ১৫২৩ (D) ১৫২৭
সঠিক উত্তর হল – খানুয়ার যুদ্ধ ১৫২৭ সালে মোগল সাম্রাট বাবর এবং রাণা সঙ্গ বা সংগ্রাম সিংহ ও মামুদ লোদী নেতৃত্বাধীন রাজপুত বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়। এটি পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। বাবর তার আধুনিক তৎকালীন অস্ত্রশস্ত্র ও কৌশলের সাহায্যে রাজপুতদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
রাণা সঙ্গ বড় বাহিনী নিয়ে মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। যুদ্ধটি খানুয়া নামে স্থানে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বাবরের কৌশল এবং তাজা গুলি বন্দুক ব্যবহারের কারণে সম্মিলিত রাজপুত বাহিনী পরাজিত হয়। খানুয়ার যুদ্ধ মোগল সাম্রাজ্যের শক্তি আরও বৃদ্ধি করে এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিমে মোগল আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।
Q5. বিখ্যাত ‘ঘর্ঘরার যুদ্ধ বা গোগরার যুদ্ধ’ কত সালে ঘটে?
- (A) ১৫২৮ (B) ১৫২৯
- (C) ১৫৩০ (D) ১৫৩২
সঠিক উত্তর হল – “ঘর্ঘরার যুদ্ধ বা গোগরার যুদ্ধ” ১৫২৯ সালের ৬ই মে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ মোগল সম্রাট বাবর এবং পূর্ব আফগান বাহিনীর সাথে ছিলেন বাংলার সুলতান মামুদ লোদী ও নুসরাত শাহ এই দুই বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। যুদ্ধটি ঘর্ঘরা নদীর প্রান্তরে সংঘটিত হয়।
এই যুদ্ধে বাবর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করেন, যুদ্ধটি খুবই রক্তক্ষয়ী ও শক্তিশালী ছিল। শেষ পর্যন্ত পূর্ব আফগান বাহিনীর পরাজিত হন। ঘর্ঘরার যুদ্ধ মোগল সাম্রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাসনকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
Q6. দ্বিতীয় পুলকেশীর সভাকবি কে ছিলেন?
- (A) রবিকীর্তি (B) ধোয়ী
- (C) বিজ্ঞানেশ্বর (D) বিহলন
সঠিক উত্তর হলো – (A) রবিকীর্তি । দ্বিতীয় পুলকেশী ছিলেন বাতাপির চালুক্য রাজবংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। তিনি “পৃথিবী বল্লভ ও পরমেশ্বর পরম ভাগবত” নামে ইতিহাসে পরিচিত । তিনি পল্লভ রাজ প্রথম মহেন্দ্রবর্মনকে পরাস্ত করেন এবং রাজধানী অধিকার করেন।
মহেন্দ্রবর্মনের পুত্র প্রথম নরসিংহবর্মন পিতার পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চালুক্য রাজধানী বাতাপি আক্রমণ করেন । এই যুদ্ধে বাতাপি ধ্বংস হয় ও দ্বিতীয় পুলকেশী নিহত হন। এই যুদ্ধ জয়ের ফলে প্রথম নরসিংহবর্মন ‘বাতাপিকোন্ড’ উপাধি পান । ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় পুলকেশী “দক্ষিণাপথনাথ” নামে পরিচিত। দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত সাহিত্যিক রবিকীর্তি তার সভাকবি ছিলেন। বিখ্যাত আইহোল শিলালিপি থেকে তার কৃতিত্বের কথা জানা যায়।
Q7. ঐতিহাসিক গোখলে সমুদ্রগুপ্ত কে প্রাচীন ভারতীয় সুবর্ণযুগের অগ্রদূত হিসেবে কাকে বলেছেন?
- (A) আলবারুনি
- (B) আর জি ভান্ডারকর
- (C) গোখলে
- (D) রোমিলা থাপা
সঠিক উত্তর – (C) ঐতিহাসিক গোপাল কৃষ্ণ গোখলে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে সমুদ্রগুপ্তকে সুবর্ণযুগের অগ্রদূত হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ, সমুদ্রগুপ্তের শাসনকালে ভারতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়, যা সামগ্রিক উন্নয়নের পথ সুগম করে। তার দূরদর্শী শাসননীতি ও কূটনৈতিক ক্ষমতার ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি ছড়ায়।
গোখলে উল্লেখ করেছেন যে, সমুদ্রগুপ্ত শিল্প, সাহিত্য, বাণিজ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি সাধন করেন। তার শাসনকালে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সমাজে বৈচিত্র্যের সমন্বয় ঘটে। এই কারণে সমুদ্রগুপ্তকে ভারতীয় সুবর্ণযুগের অগ্রদূত হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

Q8. কোন ঐতিহাসিক সমুদ্রগুপ্তকে ভারতের নেপোলিয়ন বলে আখ্যায়িত করেছেন?
- (A) গোপাল কৃষ্ণ গোখলে
- (B) রামসুন্দর সিং
- (C) ভিনসেন্ট আর্থার স্মিথ
- (D) অমলেশ ত্রিপাঠি
সঠিক উত্তর – (C) ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট আর্থার স্মিথ (Vincent Arthur Smith) সমুদ্রগুপ্তকে “ভারতের নেপোলিয়ন” বলে আখ্যায়িত করেছেন কারণ তার শাসনকালে ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক শক্তির প্রসার এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ঘটে। তিনি “অশ্বমেধ-পরাক্রম, একরাট, সর্বরাজোচ্ছেত্তা” উপাধি নিয়েছিলেন।
সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ সামরিক নেতা, যিনি বহু সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তর অংশে তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তৃত করেন। তার শাসনকালে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বজায় রাখা হয় এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে বিশেষ উন্নতি ঘটে। স্মিথ এই কারণে তাকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যিনি ইউরোপে সাম্রাজ্য বিস্তারে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
Q9. প্রাচীন ভারতের সাতবাহন সাম্রাজ্যের আদি বাসস্থান ভারতের কোন রাজ্যে ছিল?
- (A) গুজরাট
- (B) মহারাষ্ট্র
- (C) ওড়িশা
- (D) কর্ণাটক
সঠিক উত্তর (B) প্রাচীন ভারতের সাতবাহন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সিমুক। প্রধানত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সাম্রাজ্যের আদি বাসস্থান ছিল বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যে, যা ভারতের মধ্য ও দক্ষিণ অংশে বিস্তৃত ছিল। সাতবাহন শাসকরা সমৃদ্ধ বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সামরিক শক্তি ও প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন।
গৌতমী পুত্র সাতকর্ণি সাতবাহন সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন। সাতবাহন শাসনকালে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য ক্ষেত্র ব্যাপক বিকাশ লাভ করে। বিশেষ করে সামুদ্রিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার জন্য সাতবাহনরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতীয় ইতিহাসে সাতবাহন সাম্রাজ্যকে স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির যুগ হিসেবে স্মরণ করা হয়।
Q10. ভারতে কে প্রথম কুষাণ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
- (A) প্রথম কণিষ্ক
- (B) কুজল কারা কদফিসিস
- (C) বিম কদফিসিস
- (D) দ্বিতীয় কনিষ্ক
সঠিক উত্তর -(B) ভারতের প্রথম কুষাণ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন বিম কদফিসিস (Bim Kadphises)। তিনি মহেশ্বর উপাধি নিয়েছিলেন । সম্ভবত তিনি ৬৫ থেকে ৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । পারস্য কাবুল থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন এবং শক্তিশালী সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। বিম কদফিসিস অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি প্রথম স্বর্ণ মুদ্রা চালু করেন । তার শাসনকালে বাণিজ্য, বিশেষ করে সিল্ক রোডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কুশান সাম্রাজ্য ধর্ম, শিক্ষা, শিল্প ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। বিম কদফিসিস কুশান শাসকের মধ্যে অন্যতম প্রখ্যাত ও ক্ষমতাশালী শাসক হিসেবে স্মরণীয়।
উপসংহার :
ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার MCQ প্রস্তুতি যেমন WBCS, KP, WBP, SSC, UPSC, Railways, Bank Exams ইত্যাদির জন্য কার্যকর। এই পরীক্ষাগুলিতে সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো নিয়মিত অনুশীলন, সাম্প্রতিক বিষয় ও সমসাময়িক ঘটনা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং বিশ্লেষণমূলক চিন্তাভাবনা।
শুধু তথ্য মুখস্থ করলেই চলবে না, প্রশ্নের পেছনের ধারণা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র ও মডেল MCQ সমাধান করলে পরীক্ষার ধরণ বোঝা সহজ হয়। পরিকল্পিত অধ্যয়ন, সময় ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মিত রিভিশন পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাস ও জ্ঞান বৃদ্ধি করে। আশাকরি প্রশ্ন গুলি ভাল লাগবে – ধন্যবাদ ॥
Pingback: West Bengal Geography mcq for wbp exam 2025
Pingback: wbssc mcq for clerk exam 2025
Pingback: wbp mock test in bengali 2025
Pingback: wbp exam super mcq question 2025
Pingback: Latest mcq for wbcs exam 2025
Pingback: West Bengal Police gk mcq 2025
Pingback: west bengal ssc group c and d gk mcq 2025
Pingback: General English mcq Question wbcs 2025
Pingback: English mcq for wbp & kp exam 2025