Indian Geography mcq for wbp exam 2025

Introduction :

  ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরি অর্জন করা কঠিন মনে হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সম্ভব। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—IAS, WBCS, SSC, Banking, WBP, KP বা Teaching Exams। Indian Geography mcq for wbp exam 2025 প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, মক টেস্ট, প্রিভিয়াস ইয়ার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে এগিয়ে রাখবে। ভু-গোল, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত আপডেটেড তথ্য মনে রাখুন। ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং নিজের উপর বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন—সফলতা আপনারই হবে।

Q1. ভারতের সবচেয়ে বড় কয়লার ভান্ডার কোন রাজ্যে  অবস্থিত?

  • (A) ঝাড়খণ্ড
  • (B) মধ্যপ্রদেশ
  • (C) পশ্চিমবঙ্গ
  • (D) ওড়িশা

সঠিক উত্তর  ঝাড়খন্ড (A)

দামোদর কয়লাভান্ডার ভারতের সবচেয়ে বড় কয়লার খনিজ সম্পদ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অবস্থিত এবং দেশের কয়লা মজুদের প্রায় ৭৫% এই ভ্যালিতে সঞ্চিত রয়েছে।

দামোদর উপত্যকা ‘ভারতের কয়লার ভাণ্ডার’ নামে পরিচিএবং প্রধানত বিটুমিনাস কয়লা উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত, যা দেশের কোকিং কয়লার প্রধান উৎস। এই কয়লা শিল্প এবং শক্তি উৎপাদনে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দামোদর অঞ্চলে বিস্তৃত কয়লা খনি, যেমন ঝারিয়া, রানীগঞ্জ, বোকারো প্রভৃতি, ভারতের বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের চাহিদা পূরণে অপরিহার্য। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC) এই অঞ্চলের খনিজ ও জলসম্পদের ব্যবহার ও উন্নয়ন তদারকি করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে। এছাড়া, দামোদর উপত্যকার নদী ও অববাহিকা শিল্পাঞ্চল হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্ব বহন করে ।

Q2. ভারতের কোন রাজ্য লৌহ আকরিক উৎপাদনে শীর্ষে?

  • (A) ওড়িশা
  • (B) ঝাড়খণ্ড
  • (C) মধ্যপ্রদেশ
  • (D) ছত্তিশগড়

সঠিক উত্তর (A) ওড়িশা

2025 সালে তথ্য অনুযায়ী ওড়িশার লোহা আকরিক উৎপাদনে শীর্ষে । এটি ভারতের সবচেয়ে বড় লোহা আকরিক উৎপাদনকারী রাজ্য, যেখানে মূলত গুয়ালি, সিংভূম এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশের পাশাপাশি ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় লোহা আকরিকের খনি রয়েছে।

ওড়িশায় উচ্চ মানের হেমাটাইট আকরিকের ব্যাপক অস্তিত্ব রয়েছে, যা ভারতের মোট লোহা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেকের বেশি। এর কৃষ্ণ ও লোহা সঞ্চয় দেশের অগ্রণী শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে স্টিল শিল্প, নির্মাণ, এবং অন্যান্য ধাতুবিদ্যুৎ শিল্পের জন্য অপরিহার্য। এই উৎপাদন ভারতীয় অর্থনীতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু দেশটি দ্রুত শিল্পোন্নতির পথ এগিয়ে যাচ্ছে।

Q3. ভারতের সবচেয়ে বড় বক্সাইট উৎপাদনকারী রাজ্য কোনটি?

  • (A) গুজরাট
  • (B) ওড়িশা
  • (C) মহারাষ্ট্র
  • (D) তামিলনাড়ু

সঠিক উত্তর (B) ওড়িশা

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় বক্সাইট উৎপাদনকারী রাজ্য হলো ওড়িশা। দেশের মোট বক্সাইটের প্রায় অর্ধেকের বেশি আমানত এই রাজ্যে রয়েছে। কালাহান্ডি, কোরাপুট, সম্বলপুর এবং মালকানগিরি ও বোলাঙ্গীর ওড়িশার প্রধান বক্সাইট খনি অঞ্চল।

ওড়িশার এই সম্পদ দেশের অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে শক্তিশালী করে। বিশ্বব্যাপী, ভারত বক্সাইট উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই বক্সাইট উৎপাদনকারী দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া এবং চীন। এগুলো বিশ্বের বক্সাইট খনিজের প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত।

Indian Geography mcq for wbp exam 2025

Q4. ভারতের প্রধান হীরার খনি কোন রাজ্যে আছে ?

  • (A) ঝাড়খণ্ড
  • (B) মধ্যপ্রদেশ
  • (C) অন্ধ্রপ্রদেশ
  • (D) কর্ণাটক

সঠিক উত্তর (B) মধ্যপ্রদেশ

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রধান হীরার খনি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলায় অবস্থিত। এটি দেশের একমাত্র বৃহৎ এবং সক্রিয় হীরা খনি হিসেবে পরিচিত। ভারত বিশ্বের হীরার প্রধান উৎপাদক দেশ নয়, তার অবস্থান প্রায় ১২তম স্থানে।  

বিশ্বব্যাপী হীরার উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে রাশিয়া এবং দ্বিতীয় স্থান বতসোয়ানা। এই দুই দেশ বিশ্বের বৃহত্তম হীরার মজুদ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। পান্নার হীরা শিল্পের কারণে মধ্যপ্রদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

Q5. ভারতের কোন রাজ্য ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
  • (A) মহারাষ্ট্র
  • (B) ওড়িশা
  • (C) ঝাড়খণ্ড
  • (D) মধ্যপ্রদেশ

সঠিক উত্তর (B) ওড়িশা

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ওড়িশা রাজ্য, যা দেশের মোট উত্পাদনের প্রায় ৩৪% সরবরাহ করে। ওড়িশার সুন্দারগড়, কেদুজহার, কোড়াপুট ও কালাহান্ডি জেলা প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদন কেন্দ্র। বিশ্বব্যাপী ভারত ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।     

  পৃথিবীতে ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চীন এবং দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে। ম্যাঙ্গানিজ দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা স্টিল উৎপাদন ও শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ফলে, ওড়িশার ম্যাঙ্গানিজ শিল্প ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

Q6. ভারতের কোন নদী উপত্যকায় সবথেকে বেশি  কয়লা পাওয়া যায়?
  • (A) দামোদর  উপত্যকা
  • (B) গোদাবরী উপত্যকা
  • (C) মহানদী উপত্যকা
  • (D) নর্মদা উপত্যকা

সঠিক উত্তর (A) দামোদর  উপত্যকা

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বেশি কয়লা পাওয়া যায় দামোদর উপত্যকায়, যা ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের অংশ জুড়ে বিস্তার করেছে । দামোদর ভ্যালি ভারতের প্রধান কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বিশ্বব্যাপী ভারত কয়লা উৎপাদনে সবচেয়ে বড় দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দামোদর উপত্যকার কয়লা উৎপাদন ভারতের শক্তি খাত ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা দেশের অর্থনীতিতে অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Q7. ভারতের কোন রাজ্য তেল ও গ্যাস উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ?

  • (A) পশ্চিমবঙ্গ
  • (B) গুজরাট
  • (C) আসাম
  • (D) রাজস্থান

সঠিক উত্তর (D) রাজস্থান

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের তেল ও গ্যাস উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজস্থান। এটি দেশের মোট তেল উৎপাদনের প্রায় ২৩-২৫% ভাগ সরবরাহ করে। রাজস্থানের বারমের জেলা বিশেষভাবে তেলের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। গুজরাট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে তেলের পাশাপাশি বৃহৎ পরিমাণ গ্যাস উৎপাদিত হয়।     

বিশ্বব্যাপী ভারত তেল উৎপাদনে অগ্রগামী হলেও স্থানটি তৃতীয় বা চতুর্থের মধ্যে অবস্থান করছে। বিশ্বের তেল উৎপাদনে প্রথম ও দ্বিতীয় দেশ হলো সৌদি আরব এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। রাজস্থানের তেল ও গ্যাস শিল্প দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

Indian Geography mcq for wbp exam 2025

Q8. ভারতের কোন ভৌগলিক অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ ?

  • (A) ছোটনাগপুর মালভূমি
  • (B) গঙ্গা-যমুনা  সমভূমি
  • (C) পতিয়ালা মালভূমি
  • (D) বরাক উপত্যকা

সঠিক উত্তর (A) ছোটনাগপুর মালভূমি

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ খনিজসম্পদে ভরা ভৌগোলিক প্রদেশ হলো ছোটনাগপুর মালভূমি, যা ঝাড়খণ্ড, ঝাড়খণ্ডের পাশ্ববর্তী ওড়িশা, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের একটি বিস্তৃত অঞ্চল। এই প্রদেশে লোহা, কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ, বক্সাইটের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনেক পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভারতে খনিজসম্পদের ক্ষেত্রে ছোটনাগপুর মালভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বব্যাপী ভারত খনিজ উৎপাদনে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে চীন ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব খনিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে। এই তিন দেশের মধ্যে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে অর্থনীতিতে খনিজ শিল্পের অবদান বাড়াতে।

Q9. ভারতের কোন রাজ্য ‘করুণাগড় বক্সাইট খনি’ জন্য পরিচিত?

  • (A) ঝাড়খণ্ড
  • (B) ওড়িশা
  • (C) কর্ণাটক
  • (D) গুজরাট

সঠিক উত্তর (B) ওড়িশা

“করুণাগড় বক্সাইট খনি” ওড়িশা রাজ্যে অবস্থিত এবং এটি ভারতের প্রধান বক্সাইট উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর একটি। ওড়িশা দেশের মোট বক্সাইটের প্রায় অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করে। ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে বক্সাইট উৎপাদনে ভারত পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই বক্সাইট উৎপাদনকারী দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া এবং চীন।

করুণাগড় খনি অ্যালুমিনিয়ামের জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল সরবরাহ করে, যা দেশের অ্যালুমিনিয়াম শিল্প ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাতটি জেলা ওড়িশায় বক্সাইট উৎপাদনের জন্য পরিচিত, যার মধ্যে করুণাগড় অন্যতম বৃহৎ বক্সাইট খনি।

Q10. ভারতের সবচেয়ে বড় রূপার খনি কোথায়?

  • (A) রাজস্থান
  • (B) ঝাড়খণ্ড
  • (C) মহারাষ্ট্র
  • (D) তামিলনাড়ু

সঠিক উত্তর (A) রাজস্থান

ভারত রূপার উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে নয়, তবে ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারত বিশ্বের নবম বৃহত্তম রূপা উৎপাদনকারী দেশ। ভারতের প্রধান রূপার খনি রাজস্থানে অবস্থিত, বিশেষ করে উদয়পুর জেলার জাওয়ার খনি।

বিশ্বের শীর্ষ দুই রূপা উৎপাদনকারী দেশ হলো মেক্সিকো (প্রথম) এবং চীন (দ্বিতীয়)। মেক্সিকো প্রতি বছর বিশ্ব রূপার উৎপাদনের সর্বাধিক অংশ সরবরাহ করে, এবং চীন প্রযুক্তি ও উৎপাদনে বড় হাত রয়েছে। ভারতের রূপার উৎপাদন কম হলেও গড়মান উন্নতির ধারা দেখাচ্ছে এবং এটি গ্লোবাল রূপা বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Q11. ভারতের কোন রাজ্য তামা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
  • (A) ঝাড়খণ্ড
  • (B) ওড়িশা
  • (C) রাজস্থান
  • (D) মধ্যপ্রদেশ

সঠিক উত্তর (D) মধ্যপ্রদেশ

ভারতের তামা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজস্থান রাজ্য, যেখানে সংখীড়ি ও খেতরি তামার খনি প্রধান। ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের তামা উৎপাদনে ভারত ৮ম স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থান অধিকার করেছে চিলি এবং দ্বিতীয় স্থান রয়েছে কঙ্গো গণরাজ্য বা ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো

ভারত এখনও বিশ্বের বড় তামা উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে পরিচিত নয় ।  চিলি ও কঙ্গো তাদের বিপুল উৎপাদনের জন্য শীর্ষে রয়েছে । মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলা যেখানে মালাঞ্জখন্ড তামার খনি অবস্থিত। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় তামার খনি এবং বালাঘাটকে “Copper City of India” বলা হয়।

Indian Geography mcq for wbp exam 2025
Q12. ভারতের প্রাচীনতম সোনার খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
  • (A) ঝাড়খণ্ড
  • (B) কর্ণাটক
  • (C) রাজস্থান
  • (D) বিহার

সঠিক উত্তর (B) কর্ণাটক

ভারতের দুইটি প্রধান প্রাচীন সোনার খনি হলো কর্ণাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ডস (KGF) এবং হুট্টি গোল্ড মাইনস। কোলার গোল্ড ফিল্ডস, যা ব্যাঙ্গালোর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, ১৮৮০ সালে খনন শুরু হয়েছিল। এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম সোনার খনি এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় এটি দক্ষিণ ভারতের প্রধান সোনা উৎস ছিল। খনি ২০০১ সালে পরিবেশগত ও আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেলেও পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।     

    অন্যদিকে, হুট্টি গোল্ড মাইনস কর্ণাটকের রায়চুর জেলায় এবং এটি ভারতের অন্যতম প্রধান সোনা উৎপাদনকারী খনি, যা দীর্ঘকাল ধরে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণে সোনা উৎপাদন করে থাকে। ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, সোনা সঞ্চয়ে (রিজার্ভ) ভারতের স্থান অষ্টম (৮ ), প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে চিলি ও চীন।

Q13. ভারতের কোন রাজ্য লবণ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?

  • (A) গুজরাট
  • (B) রাজস্থান
  • (C) বিহার
  • (D) পশ্চিমবঙ্গ

সঠিক উত্তর (A) গুজরাট

ভারতে লবণ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে গুজরাট রাজ্য, যা দেশের লবণ উৎপাদনের প্রায় ৭৬% দায়িত্ব পালন করে। গুজরাটের খারাঘোড়া, ভাভনগর, পোরবন্দর এবং রান অফ কচ্ছ অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ লবণ উৎপাদন কেন্দ্র।

২০২৫ সালের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে লবণ উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সেরা দুই দেশ হলো চীন প্রথম স্থান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ভারত বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ লবণ উৎপাদনকারী দেশ হলেও গুজরাটের ভূমিকা সব থেকে বেশি। ভারতের বৃহত্তম লবণ খনি হলো “কচ্ছের রণ” (Rann of Kutch), গুজরাট

 Q14. ভারতে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ উৎপাদনে প্রধান রাজ্য কোনটি?

  • (A) মহারাষ্ট্র
  • (B) ঝাড়খণ্ড
  • (C) ওড়িশা
  • (D) মধ্যপ্রদেশ

সঠিক উত্তর (C) ওড়িশা

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ওড়িশা ভারতের সর্বোচ্চ ম্যাঙ্গানিজ খনিজ উৎপাদনকারী রাজ্য। ওড়িশা দেশের মোট ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনের প্রায় ৩৭% অংশ পালন করে। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে মহারাষ্ট্রের এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ।

বিশ্বব্যাপী ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে ভারত ৫ম স্থানে রয়েছে, যেখানে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চীন এবং দ্বিতীয় স্থান গায়েবন রাজ্য। ওড়িশার বারবিল, সম্বলপুর, রায়গড়া এবং সুন্দরগড়া এই জেলা ম্যাঙ্গানিজ খনিজের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ।

Q15. ভারতের কোন রাজ্য লিগনাইট কয়লার উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ?

  • (A) তামিলনাড়ু
  • (B) গুজরাট
  • (C) বিহার
  • (D) ওড়িশা

সঠিক উত্তর (A) তামিলনাড়ু

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের লিগনাইট কয়লা উৎপাদনে শীর্ষ রাজ্য হলো তামিলনাড়ু। রাজ্যটি দেশের মোট লিগনাইট উৎপাদনের প্রায় ৭৮% প্রদান করে। তামিলনাড়ুর নেইলোর, বালাপল্লী, ভেলোর ও ওয়ালাজা অঞ্চলগুলি লিগনাইট খনিজের প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত।

বিশ্বব্যাপী লিগনাইট কয়লা উৎপাদনে ভারতের অবস্থান প্রায় চতুর্থ। শীর্ষে রয়েছে চীন (প্রায় ১.২৭ বিলিয়ন টন), দ্বিতীয় স্থানে ইন্দোনেশিয়া (প্রায় ৮৩৬ মিলিয়ন টন)। এশিয়ার বৃহৎ বাজার ও বিদ্যুৎ শিল্পে এর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তামিলনাড়ু রাজ্য দেশের সর্বাধিক লিগনাইট উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে পরিচিত।

Indian Geography mcq for wbp exam 2025
Q16. ভারতের কোথায় জিপসাম (gypsum) সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?
  • (A) রাজস্থান
  • (B) মধ্যপ্রদেশ
  • (C) মহারাষ্ট্র
  • (D) কেরালা

সঠিক উত্তর (A) রাজস্থান

২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে জিপসাম (Gypsum) খনিজের সর্বাধিক মজুদ রয়েছে রাজস্থান রাজ্যে। রাজস্থানের জয়পুর, নাগৌর, বিকানীর ও দেওগাঁও অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জিপসাম মজুদ রয়েছে। রাজ্যটি ভারতের মোট জিপসাম উৎপাদনের প্রায় ৮০% প্রদান করে।

বিশ্বব্যাপী জিপসাম উৎপাদনে ভারতের অবস্থান প্রায় ১২তম। শীর্ষে রয়েছে চীন, যার উৎপাদন প্রায় ৯.৯২৩ মিলিয়ন টন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওমান, উৎপাদন প্রায় ৭.৭৪৫ মিলিয়ন টন। ভারতের উৎপাদন প্রায় ৩.৬৮ মিলিয়ন টন।

Q17. ভারতের কোথায় ফেরোম্যাঙ্গানিজ প্রচুর পাওয়া যায় ?
  • (A) ঝাড়খণ্ডের পাষুখাল
  • (B) ওড়িশার কেওঁঝর
  • (C) বিহারের অর্থ
  • (D) মধ্যপ্রদেশের সিংরোলি

সঠিক উত্তর (B) ওড়িশার কেওঁঝর

ফেরোম্যাঙ্গানিজ ইস্পাত শিল্পের এক অপরিহার্য সংকর ধাতু। এতে প্রায় ৭০–৮০% ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা ইস্পাতকে শক্ত, দৃঢ় ও টেকসই করে তোলে। ইস্পাত উৎপাদনের সময় অক্সিজেন ও সালফার অমিশ্রণ দূর করতে ফেরোম্যাঙ্গানিজ ব্যবহার হয়, ফলে মানোন্নত ইস্পাত তৈরি সম্ভব হয়।

এটি নির্মাণ, রেলপথ, জাহাজ, গাড়ি ও ভারী যন্ত্র তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রাসায়নিক ও সংকর ধাতু শিল্পেও এর ব্যবহার বিস্তৃত। ভারতে ফেরোম্যাঙ্গানিজের মূল আকরিক (ম্যাঙ্গানিজ) পাওয়া যায় মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট, ওড়িশার কেওঁঝর ও সুন্দরগড়, মহারাষ্ট্রের নাগপুর ও ভান্ডারা এবং কর্ণাটকের বেল্লারি ও চিত্রদুর্গ জেলায়।

Q18. মধ্যযুগের ভারতে কে “রুপী” নামে রূপোর কোয়েন প্রবর্তন করেন?

  • (A) আকবর
  • (B) ঔরংগজেব
  • (C) জাহাগীর
  • (D) শেরশাহ

সঠিক উত্তর (D) শেরশাহ

মধ্যযুগীয় ভারতে শেরশাহ সূরি অর্থনীতিকে দৃঢ় করতে বিভিন্ন মুদ্রা চালু করেছিলেন। তিনি প্রথমবারের মতো “রুপী” (রূপোর মুদ্রা, প্রায় ১৭৫ গ্রেন) প্রবর্তন করেন। এর পাশাপাশি তিনি “দাম” (চাঁদের মুদ্রা), “কাপি” বা “ফোরা” (তামার মুদ্রা) ও “মাসু” প্রবর্তন করেন।

এই মুদ্রাগুলি মানসম্মত ও সহজে প্রচলনযোগ্য ছিল। শেরশাহ মাপ ও ওজনের একক ব্যবস্থা চালু করে বাণিজ্য ও কর আদায়ে স্বচ্ছতা আনেন। তাঁর মুদ্রা সংস্কার এত জনপ্রিয় হয় যে মোগল শাসক ও ব্রিটিশ আমলও এটি বজায় রাখে। আধুনিক “রুপি”-র ভিত্তি শের শাহের এই মুদ্রা সংস্কারে নিহিত।

Q19. মধ্যযুগের ভারতে কে প্রথম “মোহর ” নামে সোনার কোয়েন প্রবর্তন করেন?

  • (A) শেরশাহ
  • (B) আকবর
  • (C) ইলতুৎমিস
  • (D) আলাউদ্দিন খলজি

সঠিক উত্তর (B) আকবর

মধ্যযুগীয় ভারতে সম্রাট আকবর (১৫৫৬–১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দ) প্রথমবারের মতো আশরাফি” বা “মোহর নামে সোনার মুদ্রা চালু করেন, যার ওজন প্রায় ১০.৯ গ্রাম। এটি রাজকোষ শক্তিশালীকরণ ও বাণিজ্য সহজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তিনি রুপী (রূপোর মুদ্রা) এবং দাম (চাঁদের মুদ্রা) চালু করেন।

আশরাফি, রুপী ও দাম মুদ্রাগুলি মান ও ওজন নির্ধারিত হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গ্রহণযোগ্য হয়। আকবরের এই মুদ্রা সংস্কার কর আদায়, রাজকোষ পরিচালনা ও বাণিজ্যকে স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল করে। পরবর্তী মোগল শাসকরাও এই মুদ্রা ব্যবস্থাকে অনুসরণ করেন।

Conclusion:

ভারতের ভূগোল, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ হ্রদসমূহ সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য জানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা IAS, WBCS, WBP, KP, SSC, Banking এবং অন্যান্য পরীক্ষায় সহায়ক হবে।

নিয়মিত এখানে ভিজিট করে আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এবং পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসী হোন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরও সরাসরি, গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষাভিত্তিক তথ্য পাবেন যা আপনাকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ !!।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top